"আনন্দগান উঠুক তবে বাজি"
সে এসেছে ক্রয় করতে বিষাদ
সে এসেছে ঝুলি হাতে, ভরা পরবের দান
ফিরিয়ে দিতে দিতে জানিয়েছি আমার
দারিদ্র্যের কথা
আমার বিষণ্ণতার শূন্য ভাঁড়ার
শোকরিক্ত আনন্দঝুলি নিয়ে দাঁড়াই মৃত আলখাল্লাদের পাশে
খুলে দেখি বানভাসি ঘোমটার নববধূমুখ
বসুন্ধরার বুকে কেবল পুঁতে দিয়েছি
ধানজমি বুক
ছুটে আসে শয়ে শয়ে আধো বুলি উল্লাস
কেবল শব্দ আসে না অশ্রুমতী কোনও
জানলায়
শরীর জুড়ে ধানের আগম, ধান শীষ
আলপথ ভাসাভাসি সফেদ আলো
আর ভেসে আসে "আল্লাহু আকবর"
ধর্ম মাখি, মন্দির প্রাঙ্গন জুড়ে বসে খেলি ধর্ম ধর্ম খেলা
পীর পয়গম্বর পণ্ডিত, কে বলে আমার আসন কোথায়?
কে তুমি জনক, একবার গলা ছেড়ে গেয়ে
ওঠো
"কোনো কালে হয় নি যারে দেখা, ওগো, তারি বিরহে
এমন করে
ডাক দিয়েছে-- ঘরে কে রহে!"
বিষ-শ্বাস
আলোর ছায়া সওয়ারি
উঠোন ডিঙিয়ে কণা চোখ
আবারও মাঝগাঙে দেখে নেয়
চাদরের দ্বৈরথ।
ছেপে বেরোয় জড়ানো ডাক
প্রতি অক্ষরে লুকিয়ে থাকে
অনাচারী কান্না...
মুদ্রাদোষে যত খেউড়
সব লাগে না বোঝাতে
দুহাত বড়ো বেশি হিসেব কষে
কাদা অথবা আলকাতরার;
প্রেমের বিয়োগফলে জিতে গেছে
বোকা বোকা
"ভালোবাসি"।
দুপুর চুরি
ছোটোবেলায় দেখা হাসি হাসি গালফোলা
বুড়িদি কেমন রোজ দুপুরে
আচার চুরি করে খাওয়াত
সেই দিন আচমকা পালটে, একদিন
লক্কা শার্টের সাথে হাওয়া;
রোজ সন্ধ্যেয় ল্যাম্প-পোস্টের নিচে
মুখ আড়াল এক আচারওয়ালি
অনভ্যস্ত ভাবে মাংসের সওদা করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন