শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯

বর্ণশ্রী বক্সী




অনশন  

কতগুলো মানুষ গুটি পাকিয়ে পড়ে আছে
চতুর্দিকে রঙের বাহার, আনন্দ উদ্বেলিত,
অধিকার প্রাপ্তির লড়াই ক্রমাগত মর্মমূলে
আঘাত করার চেষ্টায় তৎপর!
ভবিষ্যতের আলোকময় দিনগুলো ছুঁতে
এগিয়ে যাচ্ছে কত জোড়া পায়ের 
নিঃশব্দ মিছিল, 
দুবেলা পেট ভরে খাওয়ার সময় কি চোখে ভাসে
উজ্জ্বল চোখের মিছিলের পরাভূত বেদনা
কিংবা প্রদীপের শিখার অনুজ্জ্বল আলো?

দূর থেকে প্যাঁচার মতো রাত্রি চিরে
এঁকে যাওয়া কিছু কিছু স্হির চিত্র


 ছৌ নাচ  

এদিক থেকে ওদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে 
চলতেই থাকে ছৌনৃত্য
রঙিন মুখের মাঝে ব্যঞ্জনাময় দুই চোখ 
মুহূর্তে মুহূর্তে ব্যক্ত করে গল্পের প্লট!

লোকালয় পেরিয়ে  ধূধূ মাঠের মাঝে 
যে জীবন আমজনতার তাই যেন 
ছৌয়ের আবহ তৈরি করে,
প্রতিটি পেশীর সংকোচন-প্রসারণে
ভেসে ওঠে অবর্ণিত কথামালা

কখন যেন দর্শক ও সেই মেঠো লৌকিক 
নৃত্যের তালে তালে খুঁজে পায় 
অনাস্বাদিত সুখের মণিকোঠা
ছৌয়ের আঙ্গিকে প্রকৃতি মাত্রা যোগ করে।


ভণিতা 

সহজ সরল রেখায় চলে না  জীবনের প্রবাহ 
সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা মানুষ 
ভণিতা করে , মুখোশের আড়ালে ঢাকা 
এক ভয়ানক চেহারার প্রতিচ্ছবি

দূর থেকে ভেসে আসা রাতচরা পাখির
ডানা ঝাপটানোর অবসরে কুহক মায়া 
হাতছানি দেয় রিক্ত হৃদয় দৌবারিকের 
মনের ভেতরে, 
সব কথাই  অজানা পর্দার আড়ালে গড়ে
ওঠে, রঙিন স্বপ্ন মেখে তবুও বেঁচে থাকা!


বাহার

পূর্ণিমার রূপালি চাঁদের গোলা
সন্তর্পণে নেমে গেছে পুকুরের 
স্হির জলে যেভাবে প্রিয়তমের
অভিসারে যায় কামিনী, 
স্নিগ্ধ সৌন্দর্য ছেনে গড়ে তোলা 
ভাস্করের নির্মাণ শৈলী
দুগ্ধ সফেন জ্যোৎস্নামাখা রাত
মোহিনী মায়া ছড়িয়ে দেয়!

সুদূর অতীত থেকে ছুটে আসে
নৈসর্গিক মাধুরী 
সৃষ্টির রহস্যময়ী মিথের মতো
পৃথিবীর পরিক্রমণ চলতে থাকে 
প্রতিটি অণুতে ফসিল সময়ের ছাপ
জানার সীমানায় অজানার সূচনাবিন্দু





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন