রঙধনু
ভারসাম্য রাখো
বিধ্বস্ত পলাতকা দিন হেলে পড়তে চাইছে
তোমার উপর।
এই ছায়াবৃক্ষ, শামখোল ঘেঁষে
স্মৃতির কোথাও জাগছে সবুজ অকাতর।
আমার শেকড় শোনে অন্য এক শেকড়ের ধ্বনি।
এখানে চাকা আছে, দূরত্ব নেই
তার জংধরা হলদে আলোয় ঘাম জমবে ভেবে
কিছু আকাঙ্ক্ষা আমি সমর্পণ করি—
যারা শরীরের ভেতর ধীর, গোপন
অসুখের মতো বেড়ে উঠে।
যারা আলোর প্রতিসরণে
হবে রঙধনু উজ্জ্বলতম।
অবসেশন
বেগুনী আকাশ ক্রমে নিচু লাগে
রোজকার ফিসফাস সংলাপ
অবসেশন হয়ে বেরিয়ে আসে।
সুদীর্ঘ আড়ালের শেষে ফুটে ত্রাস।
মস্তিষ্ক কথা বলে একা—
চারদিকে এতো এতো শব্দের ভেতর
হাঁটে নিশ্বাস উষ্ণতর।
আমরা মূলত হাত ধরে
যেতে চাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে
ক্রমশ হারাবো বলে নিজেদের ওজন।
যেন অবসেশনগুলো শেষপর্যন্ত
চিন্তার খুনসুটি ছাড়া কিছু নয়।
স্নায়ুযুদ্ধ
সূর্যচ্ছটা তোমার ছায়াকে খেলায়
কখনো সরল, কখনো তির্যক ভঙ্গিতে।
তখনো মস্তিষ্কহীন মানুষ—
চলমান ছায়াদের মধ্যকার গভীর তামাশা।
উচ্চারণের উৎস যে প্রয়োজন
তাকে ঘিরে আবর্তিত হই, আদিম শঙ্কায় ভাবি—
ধোঁয়াশার মতো তুমিও কি সরে সরে যাবে!
আলোচনা সত্ত্বেও স্নায়ুযুদ্ধ থামে না কোথাও।
ধমনীতে মোলায়েম বর্ষাকাল।
জাগ্রত থেকে বলে—
তোমার আলোর কাছে পৃথিবীটা ছায়া ছায়া লাগে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন