সুপ্তি
মুহূর্তের অপর নাম মৃত্যু বলে
শ্মশানে পেতেছি শয্যা
তোমার ঘরে রাতবাতি জ্বলে
এখানে চন্দনসজ্জা।
তোমার
ইতিহাসে দায় ছিলো না কোনো,
তবু
দিনান্তে থাকে
শীতে
কাঁপতে থাকা কিছু এঁটো, কিছু জঞ্জাল।
সেখানে
উষ্ণতায় লেগে থাকে বিশ্বাস
ছড়িয়ে
পড়া বিন্দু আলোর কণা
ভবিষ্যৎ
পেরিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে ঘুমচোখ
খিড়কিদুয়ার
পেরিয়ে যাওয়া কাল... অনন্ত বর্তমান।
বোধ
আয়না পালটে দেখতে চেয়েছি নিজেকে বহমান, বলেছ, বহতা নদী শুধু তোমার
বাকি চোখে হতে হবে ঘষা কাচ, ওপার নেই;
ক্যানভাসে রঙ বুলিয়ে দেখালে সূর্যোদয়, অস্ফুটে দারুণ বলাই কি
ভুল ছিল? শুনে,
পাখিরা বাসায় ফিরে গেলো গোধূলি ভেবে।
অনেক শব্দ উচ্চারণ করা নৈঃশব্দ্য এগিয়ে আসে চেরা জিভ মিছিল হয়ে ক্রমশঃ, যেখানে
আমার ভীষণ প্রিয় তোমার সুখ বসেছে
অচঞ্চল,
কোথায় পুণ্য বিক্রি হয় জানতে, হলুদ পাতা উলটেপালটে একসা করে চলেছি অলকানন্দায়
সামনে নেমেছে নিঃসঙ্গ দেউলিয়া প্রথম
স্পর্শকাল।
ভোরবেলা প্রথম তোমার ফোলা আধখোলা চোখ দেখতে চাওয়ায়,
বিশ্বাস করো, পড়ে রয়েছে আমার অপাপ
চাওয়া পাওয়ার হিসাব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন