চোখ
স্থির আলোর দিকে এক পা
এক পা
করে এগিয়ে আসছে দৃষ্টি
পোশাকের ভেতর পথ
ভেসে যাচ্ছে চোরাগলি
জলের নাব্যতা থেকে নামাবলি
সরিয়ে রেখেছে কেউ
ঢেউ উঠুক আজ
তবু মেঘ জমছে না
সতর্ক চাহনিতে কেউ আড়াল করে নিচ্ছে দু’এক পশলা বৃষ্টি।
ঝরাপাতার সারিগান
যে পাতা ঝরে গেছে
তার কোন শোক নেই
অসুখ ডিঙিয়ে অমরত্ব খনন করে নেওয়া
শুধু সময়ের অপেক্ষা
শিকড় জারি রেখেছে
জলজ স্বপ্ন
সালোকসংশ্লেষ
এখন রান্না হচ্ছে
ভাত বেড়ে দিচ্ছে হাজার বছরের মা
অশোকপর্বের ভেতর ফুল ফুটছে
গান বাজছে নতুন পাতার।
রোদ্গন্ধ
রাত্রি থেকে চাঁদ টুকে নিয়েছি
এই দেখো খাতায় কেমন ফুটে আছে তোমার জন্মদিন।
শুধু অগ্রন্থিত শব্দের পাশে একবার দাঁড়াও
রুমালে উন্মাদ বাতাস
আরেকবার গন্ধ ছড়িয়ে দিক চারপাশে
চাঁদ ডুবে যায়নি
জ্যোৎস্নার নিরুদ্দেশ বার্তা নেই
তবু তোমার গায়ে রোদ্গন্ধ লেগে আছে এখনও।
সকাল
দু’ মিনিট চুমুক দিতেই
ভোর শেষ হয়ে আসে
আলোর গায়ে কেউ মাতৃত্বের চিহ্ন এঁকে দেয়
আলতা রাঙা পা
একটি লাল টিপ
সকালবেলা যেন আমার মা
ঘুম থেকে তুলে
নতুন দিনের কর্মসূচি পরিয়ে দেয়
দিগন্তের স্কুলে ঘন্টা বাজে না।
এখানে সব ব্যবস্থাই আছে
এখানে সব ব্যবস্থা আছে
যা দরকার অথবা দরকার নেই
যা ব্যাগে ভরে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন
অথবা ছড়িয়ে দিতে পারেন রাস্তায়
মোটকথা আপনি না চাইলেও
আপনার হাতের মুঠোয় গুঁজে দেওয়া হবে প্রাপ্তির সহজপাঠ।
না বলে কোন শব্দ থাকছে না এখন
কারণ আমাদের পরিষেবা আপনার হৃদয় অবধি পৌঁছে দেওয়ার সব ব্যবস্থাই আমরা করে ফেলেছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন