ট্রেনতম
দীর্ঘরদিন পর চেনা জানালায় ঝকঝক করে উঠলো আইরি’র বাগান
মগডালে শীত পুরোদস্তুর…
কুয়াশা ফুঁড়ে একমাত্র চাঁদ উঠলে
অসংখ্য আকাশে অঙ্কুরিত হলো দিগন্ত
প্লাটফর্মে পৌঁছলে ট্রেনতম উপতারার খোঁজে শীতগ্রস্ত বোতামঘর
দিগন্তের পাড়ঘেঁষে ভেসে আসে কদমরেণু
একটি সররমেঘ বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায়…
পাড়ার গলিতে নাচের মুদ্রায় ঢুকে পড়লে কিছু আনাড়ি স্মৃতি
বৃষ্টির ছদ্মবেশে প্রাচীন বারান্দায় টুপটাপ টুপটাপ কুয়াশা
অভিমানের গলা ছিঁড়ে দাউদাউ আগুনে ঘুম বিধুর
একটি ধ্যানস্থ রাতে টুংটাং টুংটাং বাজে মৃত্যুর আহ্লাদ…
(কুরিয়ার সিরিজের কবিতা)
বোবাটিপ
প্রেরক প্রাপক
শিশুতোষ উঠান অবাধ্য সন্ধ্যামালতী
একটি স্বাভাবিক প্রশ্নে যে উত্তরতম হেঁটে আসো গুটি গুটি পায়
তোমার জন্য পেড়ে রেখেছে বোবাটিপ ঘোর অমাবস্যা
বসন্তের সাথে দ্যাখা হয়নি অবাধ্য সন্ধ্যামালতীর
যে মেঘ জল দিতে পারেনি শিশুতোষ উঠানে
তার কপালে কি বোবাটিপ গড়িয়ে যায়?
দিগন্তের বাঁক
প্রেরক প্রাপক
ঢাকুরিয়ার মোড় উড়াল রোদ
পাখিরা ফিরে এলে ভোলাট্যাঙ্ক রাস্তায় ঝুঁকে পড়লো ক্ষুধার্ত সন্ধ্যা।
শহরের প্রান্তে উড়াল রোদ…
সেকেন্ড ব্র্যাকেটে স্পষ্ট হয়ে উঠলে ক্যালেন্ডারের সংখ্যা
গাছের ছায়া ভুলে যাচ্ছে হাঁটতে শেখার সরল সমাধান!
তবুও হেঁটে গেলো একটি বর্ষা জলভাঙার বিরুদ্ধে।
ঢাকুরিয়ার মোড়ে দিগন্তের বাঁক…
গ্রীষ্মের প্রিয়তম জানালাগুলো বিদায় হলো শীতের শুরুতে…
কবুতরের পাখায় ঠাঁই খুঁজলে রোদ
একটা অপেক্ষার সাথে মিলে যাচ্ছিলো অসংখ্য অপেক্ষা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন