অ্যাস্ট্রনটের জীবন
সৃষ্টির
চক্র চলতেই থাকে। সেই অবাধ গতি অবাধ সৃজন প্রকৃতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অসাধারণ
রঙ্গমঞ্চ। কোপারনিকস সূর্যের চারদিকে গ্রহের ঘুরে চলা সনাক্ত করেছিলেন। এরপর
গ্যালিলিও এই অনুসন্ধানে বাতি জ্বেলে ছিলেন। জীবনের জন্য জরুরি পরিস্থিতি পৃথিবীর
বুকেই সম্ভব হয়েছে। এই তো আমাদের অ্যাস্ট্রনটের জীবন। আমরা স্পেসে জীবনযাপন করি,
কাজ করি। অ্যাস্ট্রনট মানে স্টার-সেইলর, তারকা-নাবিক। কত-কত দিন স্পেস-স্কুলে
শিখলাম, জানলাম। পৃথিবীর বুকে গ্রাভিটির আকর্ষণে আমরা হেঁটে চলে বেড়াই। কিন্তু
স্পেসে প্রায় শূন্য গ্রাভিটিতে ভাসমান এই আমরা, অজানাকে জানার অদম্য ইচ্ছায় বেরিয়ে
পড়েছি।
স্পেস
শাটল-এর নোজ-এ আমাদের কাজ, খাওয়াদাওয়া এবং
ঘুমোনো কত সাবলীল। আমাদের ভাসমান ঘর আমাদের নিয়ে চলেছে অজানার খোঁজে। পৃথিবীর
নির্মল হাওয়া বাতাস ছেড়ে অন্য কোনো সুরক্ষিত গ্রহের খোঁজে। আমাদের সৌরমন্ডলের
বাইরে এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার গ্রহের খোঁজ পাওয়া গেছে। আমি স্বপন, আমার সাথি
স্বপ্না পাড়ি জমিয়েছি এই কত-কত আলোকবর্ষ দূরত্বের সন্ধানে। আমাদের সঙ্গে ড্রায়েড
মাংস আছে, ওতে গরম জল মিশিয়ে নরম করে খাচ্ছি। সঙ্গে ড্রায়েড স্ট্রবেরি আছে,
ড্রায়েড আইসক্রিম-ও। এইরকম বিশেষভাবে তৈরি বিভিন্ন ড্রায়েড অর্থাৎ শুকনো খাবার।
পৃথিবীর জল সঙ্গে নিয়ে এসেছি। সেই জল রিসাইকেল করে ব্যবহার করছি। স্নান,
খাওয়াদাওয়া, সব কিছু।
প্রতিদিন
এক্সারসাইজ ভীষণ জরুরি। সব থেকে মজার ব্যাপার হল স্পেস-শিপের দেয়ালে আটকানো
স্লিপিং-ব্যাগে ঘুমোনো। আমরা অর্থাৎ স্বপন আর স্বপ্না এক্সোপ্লানেটসের ভিড়ে দুনিয়া
খুঁজতে বেরিয়েছি, হুবহু আমাদের পৃথিবীর মতো প্রাণবন্ত রঙিন।
মেসেজ আসছে পৃথিবীর মানুষের, সচল কম্পিউটার, কথা
হচ্ছে...
পড়লাম। খুব ভাল লেগেছে।
উত্তরমুছুন