জীবনতরী
জীবনতরী যখন ডুববে
আলোগুলো তখন দিও
জ্বালিয়ে। যতক্ষণ না জীবন
অঙ্ক শেষ হবে... ততক্ষণ নিষ্পলক
চোখে জল শুধু জল রেখো ভরে!
প্রশ্ন
নদীকে প্রশ্ন করো কোনদিকে সে প্রবাহিত হবে? কারণ রাস্তারা ভয়াবহ! নদী শোনে না কারোর
বারণ। আমরা সেভাবে পারিনি বলেই আজ মৃত!
আগুনের কাছে জানতে চাও তার ক্ষমতা? আগুন
দেবে মুঠো ভরে শুধু ছাই। আগুনের মত শক্তি নেই
বলেই আমরা আজ মৃত!
তোমার দেশ কোথায়? ঠিকানাবিহীন নীরব
দেশ
তোমার। তাই বলে না তোমার চরাচরের ধুলিভরা
পথের কথা। যেখানে তোমার পদচিহ্ন ছিল তা অস্বীকার করছে কিছু অল্পবুদ্ধি, স্বার্থান্ধ মানুষ। তাই শুধু রাজ্যের কথা ভেবে গেলো তোমার দেশের
বিপুল মানুষ! রাষ্ট্রকে ভুলে শুধু
রাজ্যেই সীমাবদ্ধ
যারা... রুখে দাঁড়াও লেজ
গুটিয়ে পালাবে তারাই।
এখানে, এই দেশেই জন্ম তোমার, আমার। যেদিন
সাহস করে পারবে বলতে সেদিন সব শয়তান নত
হবে তোমার পদতলে!
শীতকাল
শীতের গল্প শুনবে?
অল্প ওমের জন্য কেউ কেউ রাম আর যৌনতার জন্য হাহাকার
করছে।
আবার কেউ কেউ অল্প ওমের জন্য মরে যাচ্ছে আগুনে পুড়ে।
কম্বল নেই, চাদর নেই। বিলাসিতাতাদের মানায় না। আগুনের
কাছে খোঁজে তারা
ওম। তারপর আগুনকে ঋণী রেখে চলে যায়
শীত ঘুমে। সে ঘুমের শেষ নেই। শীতঘুমের জন্য
প্রিয় বা প্রিয়ার কাছে ছুটি নেওয়ারও সময় পায়
না তারা!
প্রত্যেক শীতের এই একই গল্প। তবুও আমরা
প্রতিবার শীতের জন্য অপেক্ষা করি। শীতকাল
ওম নেবার আর দেবার কাল। অপেক্ষা তাই মধুর।
কিন্তু আগুনের কাছে ওম প্রত্যাশীরা ছাই দিয়ে
যায় আমাদের মুখে!
শীত যখন আসবে তখন কম্বল, চাদর নিয়ে এসো
হাত ভরে ভরে। অল্প উষ্ণতার জন্য যারা ছাই হয়ে
যায় তাদের জন্য। আমাদের আছে কিন্তু কেন দেবো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন