আমি যখন বাছাই আসনে
দায়িত্বে অনেক মাথা থাকে। তারা রাবণের মত দশটা মাথাই সেম
এরম নয়। এরা প্রতিনিয়ত দায়িত্ব শিক্ষা দেয়, বট গাছের নীচে আমায় বসিয়ে। আমাকে ছাতিম
তলার পাশে, কোন তেতলা বাড়ি থেকে লাফিয়ে কে আকাশে উঠবে উঠবে করছে, তার লেখা পড়ায়। আমি
পড়ি। আমাকে এখন পড়তেই হবে সব কিছু, যা কিছু তে দায়িত্ব আছে সেটুকু থেকে মুক্তি
পাওয়ার জন্য। আমি ভাবি আচ্ছা, পরমমুক্তির কেন দায়িত্ব থাকে না, কোন দায়বদ্ধতা থাকে
না, মুখের উপর শুয়ে পড়ে এক ঘ্যান ঘ্যান থাকে না... কাউকে, প্লিজ দেখবেন এই কথাটুকু
থেকে প্লিজটুকু বের কোরে দেওয়ার মতও কোন বীরত্ব বোধ থাকে না... তার কারণ কারণে ফুরাক, মানুষ আমার মত খাতার নীচে
জিরাক, এই তো আমি চেয়েছি, সবার থেকে...
সাড়ে বাইশের ফ্রি হ্যান্ড
সে কথাটিকেই খুঁজেছে সবাই, যে কথাটির হয়ত বা মাথা আছে
তবু মুণ্ডুনেই, হয়ত বা ঘোড়া আছে তবু ডিম নেই, এমন এক যুক্তি পূর্ণ কথার খোঁজ করতে
করতে সাড়ে বাইশ হাজার বছরেরর ইতিহাসের মুখে কেবলই যে চিন্তার ছাপ আমি মুছিয়ে দিয়ে
গেছি রোজ, তার পারিশ্রমিক স্বরূপ আমিও পেয়েছি দু’শোদশ দিন ফুসফুসহীন বাক্য যেখানে সেখানে ছড়িয়ে থাকা
চকমকি পাথর যাতে রোদ লেগে এক ঝটকায় সমস্ত দৃশ্য বন্ধ কোরে দিতে পারে... সেও
একনাগারে হাতরানির ফল স্বরূপ আবারো যদি সেই সকল হাতারানিতে হয়রান বোধ হয় তবে হয়রান
হওয়ার আগে, ট্রাই সেপের মাসেলটির কথা বুলবুলকে বলুন, অন্তত জোরে জোরে কি বোর্ডে
শব্দকে আছাড় মারলে, তার ওটুকু বৃদ্ধি পাবেই পাবে...
তোমরা তাই করেছ...
আঙুরের ক্ষেত ভেঙে যে মুখের টকভাবে স্থায়ী
যে পণ্ডিত তবু শিয়াল নয়, পৈতের উপর যার
বেজায় ক্রোধ,
গণহত্যা হয় না মেঘ, গণশ্রদ্ধা দেয় তাকেই
জীবিকায় যার
আছে সাড়ে দশলাইন ধিক্কারে,
ফুটে ফুটে ওঠা বিবেকী মূল্যবোধ...
আমারই আজও বোধ হল না বোলে সংশোধনে যাইনি
সংবিধানের বিধান খুলে, পড়িয়ে দিয়েছি কালোথান
আমার ছুড়ি মিছরি কাটে, কাটে শ্যওলামুখর চাঁদ,
যেখানে থেকে দিব্যলোকে, হতে পারে না কোনও
পুনরুত্থান...
তার চেয়ে এই মেঘলা দিনে কাগজকুসুম ছুঁড়ে ফেলে
প্রতিটি জন্ম বিভোর স্বপ্নকে না হয়, স্থাপন করব ঝড়ে...
যা ওড়ে না তোমার ফুঁয়ের কথায়, পুড়তে পারে না
তোমার বহ্নিশিখায়,
যারা শিশু হত্যার বহুযুগ আগে,
শিশুত্ব হত্যা করে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন