সরীসৃপ
ক্রমশ
চারপেয়ে হয়ে উঠছে শব
হামাগুড়ি দিয়ে দিন রাত গর্ভে ঢুকে পড়ছে সরীসৃপ
যে কোনো শর্তে উপগত হও
যাকে পাবে চেটে চুষে ছিঁড়ে ফেলো
যেন সমস্ত
নাড়ি উপড়ে আসে
যেন আর
কেউ জিভ নাড়াতে না পারে
একমাত্র
সত্য দণ্ড, আমি অবশ্য লেজ দেখি...
কীভাবে
অন্ধকারে বেড়ে ওঠে
টেনে নিয়ে
যায় চিতার গভীরে
যেন এই প্রহার উল্লাস তাকে এনে
দেবে স্বর্গসুখ
ঝুঁঝকো
আঁধারে সব মুখ শয়তানের মতো
নীতিবিরুদ্ধ জেনেও
আমি মুছে
দিচ্ছি নাভি চিহ্ন, নিজেই ছিঁড়ে ফেলছি গর্ভজাল
এই ঠান্ডা
সরীসৃপ শববীর্য থেকে
বলো আর কে কে জন্ম নেবে!
দৃশ্যের অন্তরালে
জাগো, জেগে থাকো যতক্ষণ পর্যন্ত দৃশ্যের
অন্তরালে ক্ষোভ না জন্মায়
এই অরাজক
ভোর আমাকে ডেকে তুলেছে
রক্তশূন্য
যাপন আমাকে বলেছে মরে যাও।
দিন ঢলে
যাচ্ছে রাতের গভীরে তারপর ফাঁকা
যেদিকে
তাকাই, জনশূন্য
গুটিকয়
শুয়োর কাদা খোঁড়ে
পাঁক জমে অপটু শরীরে
দীর্ঘ দাঁতের ফাঁকে শ্লেষ কাঁটা বদ রক্ত
অজস্র অসৈরণ ব্যাপার স্যাপার
মানুষ মরে গেছে, মাথায় মুকুট পড়ে শেয়ালেরা
প্রহরে প্রহরে ডাক ছাড়ে
ভবিতব্য হে! ঘুমিয়ে পড়ো না,
যতক্ষণ একটা কিছু অসহ্য হচ্ছে, জেগে থাকো।
প্রোমোটার
এ বাড়ি
অনেক কেড়েছে
ন্যায্য
কথাটি হল, ধরতে পারলে পিটিয়ে নাও খানিক। তারপর বর্মের মধ্যে
গিঁথে যাও
গলা তুলবে
না, গলার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে চারিত্রিক দোষ
ঘুণ পোকার
মতো কুরেকুরে খাবে অথচ জানতেও পারবেনা কীভাবে উচ্ছেদ হয়ে যাবে
এতো ক্ষমতা তুমি জন্মে চোখেও দেখো
নি,
হাঁড়িতে ভাত থাকুক বা নাই থাকুক
বাড়িটি মূল্যবান, তোমাকে তুলে দিতে পারলেই কাটমানি ঘরে আসে
সেগুনের
খাট দেড়লক্ষ টাকার হাতের বালা খনক তুলে ঝিলিক দেয়...
আমি
বিশ্বাস করি না প্রতিবেশ পালটে গেছে
আমিই বিতর্কিত, কী উপায়ে পালটে গেছি জানতে পারিনি, কী উপায়ে পেট চলে, ওরা কিন্তু সওব জানে
টিঁকে থাকার মস্ত উপায় আগুনে ঘুরে ফিরে
সেঁকে নাও
পোঁদ
কাকে বলবে! দেহটি দাফন হয়নি বলে ঘুরেফিরে
বেড়াচ্ছ, কে দেখছে আজকাল রোগা হয়ে
গেছ!
ওরা তবুও
আঁতিপাঁতি খুঁজবে পিছনের লেজে ক’গুচ্ছ চুল
তোমাকে
তাড়িয়ে দিলে বাড়িটি ফ্ল্যাট হবে
কাউকে
বোলো না এ বাড়িটি কেড়েছে আয়ু, স্বপ্ন সাধ... ন্যায্য কথাটি হল ধরতে পারলে পিটিয়ে দাও, তারপর বর্মে গিঁথে ফেলো মুখ কাউকে কিচ্ছুটি বোলো না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন