সিঁড়ি
যে সিঁড়িটি আকাশে ওঠে... সেটাই কী
পাতালমুখীও হয়... তুমি বলো সব একই... আমি বলি, প্রতিবার অংশতঃ ঝরে ঝরে যায়...
ভালোবাসা
শরীর
গর্ভ
জন্ম
জীবন
বহন
আগুন
দহন
ভালোবাসা
ডার্ক চকলেট
যে ছেলেটা আজকে রাতে এই শহর ছেড়ে আরও অনেক দূরে... ট্রেনের জানলা দিয়ে ছুটে আসছে রাতের মিঠে হাওয়া... যে ছেলেটা দূরাভাষে হাসতে হাসতে শান্তি... রেলপথে গুঁড়িয়ে
যাচ্ছে জ্যোৎস্না... তার জীবনে আলো ঝরুক ঝরনাজলের মত...
যে মেয়েটা রাজপথে একা... ভয় লাগে না, উদাস লাগছে তার... যে মেয়েটা আসমানী নীল শাড়ি... ভাঙা খোঁপায় কাজল ভিজছে একা... পথ ছুটছে, প্লাস্টিকে ভিজছে দূর্গা... মেয়েটা হাসে, ঝাঁপ তো সে মনে মনে কবেই দিয়েছে... সামনে মরতে আলস্য
লাগে আজকাল... কাটা ফোনের বিপ্ বিপ্... ডার্ক চকলেট, ঝরনাকলম, ভাঙা বিশ্বাস ফুটছে যেন পায়ে... ও মেয়েটা... উদাস তুই পাথর হয়ে যা...
নিঃশ্বাস
জীবনে ঠিক যতগুলো রাতকে রাতকানা করে দিয়েছে স্লিপিং
পিলসের চাদর... ঠিক যতগুলি রাতে তোমার অধবা শার্সিতে
গলে গলে পড়েছে টুপটুপে চাঁদ... বাতাস গুমগুম করে মরেছে নোনা বিছানায়... ঠিক যতগুলি রাতে তুমি বিচ্ছেদের শব ব্যবচ্ছেদে ক্ষতবিক্ষত... ঠিক ততগুলি রাতে সদ্যজাত শিশুটি খোলা আকাশের নিচে আকুল ভিজেছে। ওর মৃত মায়ের
ভিখিরি বোঁটা থেকে এখনও ঝরে ঝরে পড়ছে
বিন্দু বিন্দু জীবন্ত গরম দুধ। বাঘ যেমন রক্তের
আঁশগন্ধ চেনে... শিশুও চেনে গরম দুধের গন্ধ... যে জ্যোৎস্নাকে সে তার দুধেলা দাঁতে চুষে ধরতে পারবে বারবার...
ঝোড়ো হাওয়ায় ভীড় করা জনতার মাঝে নোংরা নর্দমার পাঁক
থেকে জীবনকে ছাড়াতে ছাড়াতে তুমি বুঝবে...
জীবনটা খুব ছোট... আবার ছোট নয়ও... আর ঠিক তখনই তোমার মনে হবে, পাঁক থেকে উঠে
নিঃশ্বাস নিতে হলে... এখন একটু গরম দুধের খুব দরকার...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন