সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

উমাপদ কর




টুকরো কবিতা


(৪১)


ভুলে যাওয়া নদীটিকে অসময় ভেবে মনে করার কথা ভাবি
        তার স্রোতের দিকে বাইছিলাম মান্দাস
তার স্রোতের বিরুদ্ধে কিছুই ছিল না সাঁতার ছাড়া
         স্বপ্নে ছিল এক সুদৃশ্য পাল আর নৌকার ময়ূরপঙ্খী গলুই
তীরে উঠে আসার পর স্বপ্ন ভেঙেছে যেমন সাঁতারের কথাও আর মনে নেই


(৪২)


ভুবন ভোলানো হাসিটিকেই বাজি ধরেছিলাম খুব নিচু গলায়
          বিপরীতগামী এক ট্রেন ঝমঝমিয়ে উঠেছিল কোনো ব্রিজে
নদী পারাপারের সময় এক বিচ্ছু পানকৌড়ি আমার দিকে তাকিয়ে বুঝিবা হেসেছিল
          আর কামরাভর্তি গুঞ্জরিত মানুষ আমার কাছে কত কি চাইছিল
ওই ভুবন ভোলানো হাসিই কি তবে কাল হয়েছিল নাকি কর্ণ বানিয়েছিল


(৪৩)


ধরো আমিই তোমার মানিক, পাথরও
          ধরি তুমিই আমার পাষাণ
কীভাবে বর্ণনা করব দুজন দুজনকে
           ঘুরছি ফিরছি আর বারবার মেপে নিচ্ছি
গভীরে প্রবেশের দরজাগুলো যা ঠিক হাট করে খোলা নেই


(৪৪)

ফিরে যাবো না আর যতই পথ শেষ হয়ে যাক
         ঘুমিয়ে পড়ব বিশ্রাম নেব
তারপর পথকেই বলব আরেকটু লম্বা হতে
         সেও আমার কথানুসারে আরও চলার রাস্তা বানাবে
পথের দিগন্তে এসে এই যে রাস্তা খুলে যাওয়া তা আমাকে ফিরতে দেবে না








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন