অনুঘটক
(১)
কোনো কোনো
অসুখের কোনো নাম হয় না
হয় না
নিরাময় - নেই প্রতিকার!
(২)
সমস্ত জানালা-কপাট
খোলা প্রতিদিনের মতো,
ঘরময় একটা
দুঃখ বাতাস, সাথে নিয়ে এলো
বহুদিনের পুরনো উপেক্ষার গন্ধ,
সহ্য হয় না!
(৩)
জোয়ারে
ভেসে আসা কাদামাটির তাল
ভাঙা-গড়া, ইচ্ছেমতো রঙ লেপে দেওয়া , তারপর বর্ষার প্রবল তোড়ে ধুয়ে যাওয়া,
ভাঙা
হাত-মুখ আধবোজা চোখে চেয়ে থাকা!
পশ্চিমের
ফিরে যাওয়া সূর্যের কাছে ভিক্ষা চাওয়া — শুধু দু’মুঠো প্রগলভতা!
ব্যতিক্রমী কিছু ...
ভাদ্র
পূর্ণিমার আকাশে দেখেছি, বৈষ্ণবী চাঁদ
অনড়
কক্ষপথে অবিচল, অথচ অনুষ্টুপ ছন্দে বিভোর।
কী মোহময়ী আকর্ষণ তবুও কত নির্লিপ্ত!
প্রতিটি
ব্যর্থতা, মলিনতা, ক্লান্তিকে দুধসাদা জ্যোৎস্নার চাদরে ঢেকে
নিয়ে আসে। নতজানু
হয়ে এসে বসে পৃথিবীর সভাগৃহে, বৈরাগ্যে আত্মমগ্ন।
ব্যতিক্রমী
তো কোনো কিছুই নয়, জন্মের মতোই আশ্চর্যজনক মৃত্যু! চারপাশে ফুটে থাকা ফুল, রঙ-রূপ-গন্ধ! দেহের নিগূঢ় তত্ত্ব! সবই নিশ্চিত সত্য।
ব্যতিক্রম
বলতে শুধু, অন্তর্বতীকালীন হাসি-কান্না-অভিমান, হৈচৈ-হুল্লোড়।
এত পথ ঘুরে
শেষে আসে সেই শুদ্ধ বৈরাগ্য, পদাবলীর মতো...
ব্যতিক্রমী
নয় তো তেমন বেশি কিছু।
গল্পাণু
ঝিমধরা দুপুরে, শহরের
ব্যস্ততা-হুল্লোড় কাটিয়ে, একফালি প্রান্তিক এক কোণে জেগে
আছে।
লেবেলক্রশিং-এর পাশ ঘেঁষে বুনো ঝোপ-ঝাড় ঠেলে একটা
পায়ে পায়ে চলা পথ এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক রাস্তা নয়। আসে না
এ পথে কেউ তেমন। কোথায় শেষ কে জানে অথবা শুরুই নেই হয়ত
কোনো।
সবুজে মোড়া বুনো গন্ধে সতেজ নিঃশ্বাস নেওয়া যায় অবশ্য
প্রাণ ভরে!
কিছু দূরে কাঁটা ঝোপের আড়ালে ধূলোমাখা, রূক্ষ
একটা মুখ শুধু চেয়ে দ্যাখে শূন্য চোখে।
হাতরায় কিছু নিরিবিলিতে।
একা, একলা পথে সে বোধহয় নির্জনতা খুঁজছে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন