সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

নীপবীথি ভৌমিক




যা কিছু আমি জানি


 (এক)


যেদিকে রোদ যাওয়ার, সেদিকেই যায় সে
আমরা শুধু আলো খুঁজি মিছিমিছি,
অথচ, শূন্য পথে যত ভাঙা পার
নামহীন, গোত্রহীন সে এক জন্মনদী;
তবুও আশা তুমি, আর তোমার জেগে থাকা
বেঁচে থাকা সেই, মুহূর্তের জন্ম আখ্যান লিখে

(দুই)


আকাশের ঘুম ভাঙলে পাখির গান শোনা যায় আবার
রাত জানে সব, সব জানে,
বোঝেও দিন শেষের বেলায় তার ঠিকানা
থাকে পড়ে কোথাও না কোথাও
তারার স্পর্শে আশ্রয় সাজিয়ে ঘুমাতেও যায় সে নিশ্চিন্তে,
জানে না শুধু অক্ষিপল্লব, রাত কাকে বলে,
কাকে বলে পাখির গান

(তিন) 


আলোকে কি আর ব্যথার কথা বলা যায়?
যে ব্যথারা জ্বর হয়ে নেমে আসে আমার শাব্দিক অভিযানে!

খাতা খুলে বসে থাকি, দিবারাত্রির অভিযানে
অক্ষর যে কখন ব্যথা হয়ে নামে জ্বর গাছের গায়ে
পাতায় লেখা হয়ে জন্ম না নেওয়া কোনো রাতে


(চার)



রোদ পেরিয়ে যাওয়া অরণ্যের রাত দিন
চোখের  কথা কি সে জানে? অন্ধ  দৃষ্টি নিয়ে
আজন্মের ভিখারী আমি। শখ যতই মেঘছোঁয়া আকাশ হোক


(পাঁচ)


তখন বিকেলের গায়ে সন্ধ্যামাখা স্নান এসে ভিড় করেছিল
চোখ যা কিছু চায়!

 খোলা চোখে স্মৃতি এসে ভিড় করে
 যেভাবে  গাছের গায়ে হেমন্ত এসে চিঠি লিখে যায়!

 এখন উৎসব নেইএখন শুধু আনন্দ।
 ভয়হীন মা এখন সন্তান সুখে মৃত্যু গোণে।

 (ছয়)



বিশ্বাস হারিয়ে গেলেও আবার ‌সেই বিশ্বাসেই বাঁধি। ভাঙা ঋতু, নদী স্নান, অনন্ত মিথ্যের উপহাসে

চশমা দৃষ্টি শক্তি ফেরায় আবার ঠিকই,
ঘোলা কাচ আর না ছুঁতে পারা জলের স্পর্শে।
   
জন্ম আর মৃত্যু এভাবেই পরিহাস হয়ে যায়
জন্ম জন্মান্তরে।

     

   


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন