সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

পিয়াল রায়




যে মেঘ আড়ালে আড়ালে... 


(১)

আর কতদিন ঘুমোবে ভাবছ?

যা করা মানা
তাই করতে করতে
হাই তুললে আর পাতা থেকে
অক্লেশে ছিঁড়ে ফেলতে চাইলে
দলহীন নিঃসঙ্গতাগুলি

আর একটা দিনও এভাবে নয়

বাচ্চাদের মুখে মুখে যে কথা
এতদিন বাতাসের সাথে
পাল্লা দিয়েছিল মেঘ ধরবে বলে
তাদের বলে দাও
এখানে এখন প্রখর দুপুর 
জলের গায়ে জমে উঠেছে আস্তরণ
যারা এসেছিল
ঘটা করে পুজো সেরে স্নান নিতে চলে গেছে তারা
পাকিয়ে ওঠা কিছু বাতাস শুধু
এদিক ওদিক মুখ থুবড়ে পড়ে
তাদের কালচে রক্ত রাস্তাকে ভিজিয়ে
বসে আছে চুপচাপ 


(২) 

যে মেঘ পাতার আড়ালে আড়ালে
দোকানদারী গুছিয়ে রাখল
কান্না দেখে তার কোনো প্রতিক্রিয়া
হবে না, এ কথা জানাই ছিল

চোর বলতে কাকে শেষপর্যন্ত ভেবে বসলে তুমি?

যে তোমার কাছে গেছিল?
নাকি তোমাকে টেনেছিল ভিতরে ভিতরে?  
সীমানা ভাঙো বলতে বলতে পার করিয়ে
দিতে চেয়েছিল ঘেয়ো রাস্তাগুলো

গুড়বাতাসার মিষ্টি হাওয়া চলছে এখন
আর দ্যাখো, কেমন মিটিমিটি
মাথা দোলাচ্ছে সাক্ষীসাপের দল 
আর ওদের মাথার উপর
কী নমনীয় শান্ত হাতের ছাপ 

অনেকটা ঠিক সুমধুর নেশা কোনো
নেশা করে ঝিম ঝিম গুলিয়ে ফেলেছে চৌহদ্দি

আমি চিরকালই বেতালা
সামান্য গরম হাওয়া আর সারা গায়ে
চাকা চাকা দাগ নিয়ে
বসে থাকি ধোঁয়াটে মাঠে

উল বুনি আর নতুন নতুন
প্যাটার্ন খুঁজতে থাকি একালের 

 (৩)

এটুকুই শুধু চেয়েছিলে?  
রমরম করে বেড়ে চলুক আমাদের জিজ্ঞাসা
অথচ কোথাও কোনো উত্তর থাকবে না?

ভালোমন্দ কিছু বলার জায়গাই নেই
 যখন পাহাড়ের চূড়া মদগর্ভী বরফে ঢাকা

কিছু না পেয়েই কোনো কোনো মানুষ
সারাজীবন চুপিচুপি ছবি আঁকে
পোকামাকড় সরিয়ে আতিপাঁতি খুঁজতে থাকে
পুরনো বইপত্তর 
শরবনে হাওয়া খেলে যায়
বোতাম আটকায় বোতাম খোলে

বার্তাহীন উঁচু শব্দ
খাপখোলা মাছির মতো বিরক্ত করতে থাকে
করতেই থাকে

শুধু মাঝেমাঝে ঈশ্বর এসে
নির্লোম দু’ একটা প্রসাদ
রেখে যান বালিশের পাশে 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন