লাব-ডুব
উচ্চতায় কী করে পৌঁছতে হয়, তার ভেলকি দেখছি কদিন ধরেই।
আমি শুধু ভাবি, থার্মোমিটার আর পারদের কথা। ওঠা নামা করলেও কেও কোনোদিন
কই ছিটকে যায় না তো একে অপরের থেকে!
আলু পটল কিনতে যাই। বাটখাড়া আর দাড়িপাল্লা দেখি। ভারে, ক্লান্তিতে
একে অপরের ওপর নুয়ে পড়া দেখতে দেখতে ফিরে আসি।
ফিরে এসে দেখি, ওপাড়ার মুজাফকে। কোড়ে আঙুল কেটে থুতু ছিটিয়ে দিই
সুদেষ্ণার গায়ে।
আশুতোষ কাকু আজ প্রথমবার অফিস কাটলো। ল্যাবের সেকেন্ড
হাফটা কোনো রকম বুজুং বাজুং দিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে বিকেল গুনছে শিল্পা ম্যাম।
দিন চারেক হল ছাড়া পেয়েছে ভিকি। এখন আর পুলিশ ধাওয়া
করে না। কলকাতাকে ওই খাঁচা থেকে ততটাই ছোট লাগত, যতটা বড় এখন লাগে। স্টিয়ারিংএর
মত চেপে ধরে থাকে লিসা র হাত।
ক্যাফে ওপেনিংএর প্ল্যানটা সেই কলেজ থেকেই তিড়িং বিড়িং
করছে। ফাইনালি বালিগঞ্জের গলিতে 'প্রেমের' নামে মানত করে একটা কিছু
দুজনে মিলে দাঁড় করিয়েছে সংযুক্তা আর শ্রেয়সী।
'কিন্ত তোর
তো চাইনিজ বেশি পছন্দ'
'হ্যাঁ, আর তোর ডাব
চিংড়ি'
৬ বালিগঞ্জ
প্লেসএর টেবিলে মুখোমুখি বসে কথাগুলো বলেছিল, অর্ণব আর সায়ন্তন।
নিলয়দা, শুধু মাত্র ঊর্ণার কথায় রাজি হয়ে গাড়ি ছাড়া বেরিয়েছে
আজ। 'অযান্ত্রিক' হাত ধরে দোলতোলা ঘাটএর রেলিং বরাবর হেঁটে যাবে ওরা। সাদা
পাঞ্জাবী রঙিন হয়ে যাবে কাঁচা নেলপালিশে।
রেট করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল শিউলি।
স্নো পাউডার, লিপস্টিক মেখে শিউলিকে এখন আর অপেক্ষা করতে হয় না। বরং
অপেক্ষায় থাকে আকাশ। কখন, ও অনার্সএর
পড়া পড়তে হাল্কা করে ঘুমিয়ে পড়বে, আর কপালে চুমু এঁকে দেবে সে।
রাতগুলো কাটছে, ভানুসিংহের পদাবলির স্ক্রিপ্টএ। দিনগুলো সেক্টর ফাইভ -
টার্গেট। এর মাঝেই একদিন টুক করে রিজাইন লেটারটা টাইপ করে ফেলেছে অর্পিতা। অরুণাংশুর বস্এর টেবিল পর্যন্ত ও ঠিক পৌঁছে যাবে। থাক ও ওর
মঞ্চ নিয়ে।
The
42র চাতালে বসে এই সব আমি তাড়িয়ে
তাড়িয়ে দেখি। আর ভাবি, ইস্ তোরাও যদি পারতিস ওদের মত!
আমার তো এখনও খুব ইচ্ছে করে, কলেজ থেকে বেরিয়ে ইলোরার মত
বলি,
‘কোথায় তুমি? তোমায়
খুঁজে পাচ্ছি না!’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন