অগ্নিবলয়
(আমরা
কি জানতাম এভাবেও হারিয়ে যাওয়া যায়)
শূন্যের পাশেপাশে বেড়ে ওঠা
তীব্র শহর
নিশ্ছিদ্র নিষ্ঠুর
সামুদ্রিক আকুতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে
বারান্দা ধোয়া জলের উপর
হাতে হাতে ঝিনুকের খোল
প্রেমিকের ঠোঁটের মতো
দাগ আর দাগের ভিতর থেকে কেঁপে কেঁপে
একশা সফেদ শোণিত
অনেকদিন পর
দক্ষিণের বারান্দা বুঝিয়েছিল
হারানোর কোনো সত্য কারণ হয় না
চুপচাপ বসে আছে একটা ছবি
একটু একটু বদলে যাচ্ছে প্রতিদিন
হওয়া না হওয়ার অন্ধকার
হয়ে গিলতে চাইল রক্তের ভিতর
সতত বিচ্ছিন্নমালা
তখনও সে জানত না
মানবচরিত্র সোজাসাপটা চলে না
ভেবেছে পয়মন্ত এই প্রসাদ হয়ত
শান্ত করবে পীড়াযাপন
একাধিক
সব হয়ত না
তবে কিছু তরঙ্গ পাশাপাশি চলতেই থাকে
চলতেই থাকে
যতক্ষণ না মরে যাচ্ছে অন্তত একজন
দূর থেকে কেউ লক্ষ্য করল
লক্ষ্য করল কীভাবে পায়ে পায়ে জড়িয়ে সাপ
একজন সটান নেমে গেল শ্মশানে
সারা গায়ে তার বিভৎস ক্যাকটাস
মধ্যরাতের প্ররোচনায় দ্যাখো
একা একা প্রতিটা গল্পই বড় হয়ে উঠছে
একা একাই জেগে থাকছে
লক্ষ্য করবে বলে
অন্যজন তো ওপারে গায়ে অগ্নিবলয় টেনে
সপাটে ঘুম দিচ্ছে
টিকটিকি
আমাকে দেখেই টিকটিকিটা
এ দেওয়াল সে দেওয়াল
লুকিয়ে পড়ল আলোর নিচে
লুকোলো এমন যেন
ওকে দেখতে পাই পুরোপুরি
এমনিতে সবই ঠিক আছে
টিকটিকি সুলভ গাম্ভীর্য
মোটাসরু লেজ
শুধু তলপেটে একটা ছেঁড়া দাগ
দূর থেকে হলেও বুঝতে পারছিলাম
এ দাগ যে কোনো রাত্রিদৃশ্যের
ঘুমিয়ে পড়ার আগে দেখলাম
ও মন দিয়ে লক্ষ্য করছে
আমার শয়নভঙ্গি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন