বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮

তৈমুর খান



একটি মৃত্যু শুধু 


কাজল পরোনি
ওই চোখে মেঘলা বিশ্বাস

আমি আত্মহত্যাকারী
সব সিঁড়ি ভেঙে ফেলেছি
এখন বিষণ্ণ দেশ
মাটির বিহ্বল গান শুনি

তোমার বৃষ্টির ভেতর
কোনও দুর্জ্ঞেয় সরীসৃপ লীলা যায়
ভেজা আঁচলের গানে যদিও তার রঙিন বিলাস
আমি দড়ি পাকাই সারারাত, নিহত বিবেকের দড়ি

একটি মৃত্যু শুধু বাকি সব রহস্য
বাকি সব না বলা বেদনার কাঙাল উচ্ছ্বাস


 ভাঙা নৌকার ঘাট 


কাঠের নীল উচ্ছ্বাসগুলি ভাঙা নৌকার ঘাট
কিংবদন্তির কাহিনি
মাস্তুলে মাছরাঙা
চন্দ্রকিরণে আরব্যরজনী

এখনও কণ্ঠের তিলটি
এই উপকণ্ঠে এসে হাত নাড়ে
ওর হাতে পাখিজীবনের ধূসর জ্ঞান রাখি

নদীকে জননী বলে ডাকি
গর্ভে তার সময়ের অভিঘাত
জ্বরের কঠিন পথ পেরিয়ে গেলে
রোদে রোদে ছড়িয়ে পড়ে কিংশুকবাণী


ঠোঁটের সীমানায় সেই আরক্তিম
উদয়-অস্ত
আলো-ছায়ার ঘরমুখো বাঁশি
নতুন কেনা পড়শিনির নির্জন আয়নাখানি


মঞ্চ


বিষাদ বিকেলে মঞ্চ বাঁধা হলে
আত্মহত্যারা ঘনীভূত হল
সংযমের বক্তৃতায় কেউ উৎসুক ছিল না
নির্বেদ অভ্যাসে যদিও ঝরছিল সংলাপ
ভাষাগুলি নিরশ্রু নিহিত যন্ত্রণা

এক একটি যন্ত্রণার মুখে বিস্মরণ ওড়ে
তাপদগ্ধ কথিত বিশ্বাস
বাঁচা আর বাঁচার ভ্রমে নীল প্রজাপতি
কত দূর, কত দূর যাবে?

মঞ্চে আত্মহত্যারা নাচে…


নিষ্ঠাবান 


আমি নিষ্ঠাবান, থেকে থেকে
                ভেঙে যাচ্ছি দুপুরের রোদে
                         ঘামে ভিজে কর্তব্যের কাছে নুয়ে পড়ছি

কে আর বিষাদ দেবে আমাকে?
      সব খালবিল পার হয়ে উড়ে যাচ্ছে ধূসর বক
                                         
             ছায়াশরীরে রোদ মেখে উনুন জ্বেলেছে মেঘ
                                   এখন তার ভাত ফোটার সময়
             
তুমি ব্যালকনিতে বসে নতুন সিনেমায় চলে গেছ
           কার হৃদয় কে নিয়ে যায় তার হিসেব জান না
                                     
                        বেশ পরিপাটি চুল, এলোমেলো শাড়ি
                            বুকের উঠোনে কৃষ্ণচূড়া ঘুম ভেঙে জেগে আছে

          এই সৌজন্যের দেশে প্রেমের কি অন্যকোনও ভাষা আছে?
           কথা হল নাকো আর তোমার সঙ্গে বিকেলের চা খেতে খেতে

রোদের কাছে পড়ে থাকলাম সব হৃদয় বিক্রি করে...
                                                               








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন