কঙ্কাবতী উপাখ্যান
চেতনার
দ্বীপে যার অবস্থান
কঙ্কাবতী, তাকে ভোলাবে কীভাবে?
লুকানো
কোথায় কার প্রাণ, সব
নখদর্পণে
তার,
রহস্যজাল তোমার
কখন
পুড়ে ছাড়খার! রূপবতী
রেখেছ
কী খোঁজ তার?
বোকার
ঢেঁকিতে রাখলে পা,
ধান
আর যায় না ভাঙা, যায় না ভাঙা,
শত্রুর
বিষদাঁত,
কমে না তেজ,
ভাসে
না শূন্যে শত্রুর বিশ্বাসের বুদবুদ!
আশঙ্কার বালুচর
জীবন
এখন হামাগুড়ি দেয়, আশঙ্কার বালুচরে,
কোথাও
কোনো বিলাপ নেই, কিম্বা প্রতিবাদের ঢল,
যে
যার মতো চলছে, বিচ্ছিন্ন কিছু ছোট ছোট দ্বীপ,
অসুমিত
আলোহীন দ্বীপগুলো,
যেখানে
কোনো জাহাজ নোঙ্গর করে না,
তারা
ভুলে গেছে ভোজ অথবা উপবাসের কথা
কিছু
প্রাচীন কংকাল অট্টহাস্য করে কেবল!
চারদিকে
বিষকাঁকড়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে,
তবুও
বেঁহুশ তারা নালিশ করে না !
যে
যার মতো চলছে বিচ্ছিন্ন কিছু ছোট ছোট দ্বীপ।
বাস্তুহারার বয়ান
উদ্বাস্তু
পদ্যের মতো হামলে পড়েছ,
বিস্তার
করছ সভত্যার জড়ায়ু,
মানব
দেহের তাপ বাড়াচ্ছ আর
সেধে
সেধে বিজ্ঞানের রঙ ঢঙ
দেখো, পজিটিভ। আর নেগেটিভ
দুটো
অংশে নিজেকে বিভক্ত করে,
সার্কাসের
দর্শক সাজিয়েছ পৃথিবীকে
অন্য
গ্রহগুলো হতভম্ব!
সভত্যা
তো সাতপাক ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত,
এখন
সে গর্দভ সাজতে চায় না, অথচ
তুমি
পা ছড়িয়ে বসে আছ
যেন
এক অবুঝ বালক!
যে
নাকি বায়না ধরেছে যে
অসময়ে
বৃষ্টি হোক!
কিশলয় আসুক
চেতনে, অবচেতনে মোমবাতির দু’ধার জ্বালাই
মনের
লোডশেডিং বড়ই যাতনাসম!
যুগের
ওপাড়ের ডাক আজ অচলায়তন
কোনও
এক ফোনকলের অপেক্ষায় দিন কেটে যায়,
যদিও
জানি,
এ মনের খেলাঘর বালির বাঁধ!
এখন
ঝরাপাতার সুরে গলা মেলাই,
সবুজাভ
কিশলয় আসুক, তখন আমি
মাটির
সনে হাত মেলাবো,
মুঠোফোনের
পর্দায় আর চোখ রাখব না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন