শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়




এপিজেনেটিক্স


সবার ঘরের আলো নিভে গেছে শুধু একটা মুঠোফোনের আলো জ্বলছে নিভছে  সাইলেন্ট মুডে ফোন প্রতিরাতে শীৎকার লেখে শরীরে

সম্ভ্রান্ত  পরিবারের পারিবারিক বন্ধুত্ব বাগদত্তা করে রেখেছিল সম্পর্কে  হাত মিলিয়েছে সোমদত্তা আবীরের মাঝে আবীর অফিসের কাজের বাহানা খুঁজে প্রথম রাত থেকে ল্যাপটপ আর মুঠোফোনে ডুবিয়ে নিয়েছে নিজেকে সোমদত্তার মাঝে প্রশ্ন ভীড় করে সময় গোনে, সময় দিতে চায় সম্পর্কের গাঁটছড়ায় কিন্তু  কাকে, কীভাবে দেবে! রজনীগন্ধার গন্ধ - প্রথম রাতে গন্ধহীন আর গায়ে-হলুদের হলুদ আজ বালিশের কভারে জলের হলুদ... নুন  জমায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরের খুঁত খোঁজে, সারা শরীরে হাত বোলায় সোমদত্তা আর আবীরের মুঠোফোনকে হিংসে করে এই মুঠোফোন আবীরের বুকের, ঠোঁটের,  হাতের এমন কী বাথরুমের সঙ্গী আবীরের গন্ধ পেতে ওর মুঠোফোন একবার ছুঁতে চায় কিন্তু হায়! পায় না মুঠোফোন আজ সতীন এই সতীনের যত্নে আবীর সতর্ক দু'মাসে গুমরে ওঠা সোমদত্তার মন একদিন সেই সুযোগ পেয়ে যায় সতীনের থেকে আবীরের গন্ধ মাখবে বলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ছবি দেখে  সোমদত্তার গা গুলিয়ে ওঠে বেসিনে গিয়ে বমি করে আবীর ছুটে ঘরে এসে রাগে ফেটে পড়ে কিন্তু সোমদত্তার সামনে মুখোমুখি হতেই শিশুর মতো কেঁদে ফেলে আবীর, তার নিজের ভেতরে নারী সত্ত্বার অস্তিত্বের ছায়ায়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন