বকুল ঠাকুর
(৪)
আমার প্রতিটা প্রেম,
হয়তো বা চকমকি ছিল
আগুন জ্বালানো যেত। তার ওপরে চাকা আবিষ্কার।
গভীর সুরঙ্গপথে স্থিতপ্রজ্ঞ মশালের মতো
জ্বলে উঠতো কারো কারো অনার্য শরীর
শান্ত মোমবাতি কেউ,
গলে যেত অত্যাগসহনে
সভ্যতা এগিয়ে গেছে। দু’পাশে ফসল-কামী মাটি
শস্যসম্ভাবনা, আদরের ডাক
পতঙ্গস্বভাবী আমি। মৃতপ্রায় উড়ে যেতে যেতে
ঝুমচাষ বিষয়ক তত্ত্বকথা ভুলে যাই। আপাতদহনে...
ফিরে আসে স্মৃতিমুখ,
জলজ নূপুর
আমার সমস্ত প্রেম,
শুধুমাত্র আগুন হয়েছে
তোমাকে পারেনি ছুঁতে। পোড়াতেও -
বকুল ঠাকুর
(৫)
আমাকে ঘুমের কথা বোলো না। সম্প্রতি
রঙিন ফ্যয়েলে আর ট্যাবলেটে ঢেকে গেছে সভ্যতার মুখ
কড়া সিডেটিভ ছাড়া স্বপ্ন আসে না
কুসুম কুসুম জন্ম,
অন্ত্যমিল মিথ্যে মনে হয়
পাদুকা চিহ্নটি সার। তবু তাকে সিংহাসনে রেখে
আজীবন রাতজাগা। নতমুখী। নিথর পাহারা
রক্তমাখা দেবীযোনি, স্বর্গের রুটম্যাপ, ধর্মকুকুর
জমিয়ে রেখেছি, দেব তাদেরই দু’হাতে
'নরক-গামিনী হও'
বলেছিল যারা।
(৬)
মধ্যরাত। অভিমান। ঘুমের ভেতরে ভেঙে পড়ে
গ্রহাণুপুঞ্জের হাসি। থোকা থোকা। সাদা।
বেড়াল ডিঙিয়ে যায় নিচু ছাদ,
শোকতপ্ত তেতলার ঘর
এই নীরবতা, কান্না,
অভিনয় পুনরাভিনয়
এতকাল আমাদের রাত্রি-অনুচর।
জ্বর ঘুরে আসে,
যেন পুরনো বন্ধুটি
শরীরে নরম আলো,
স্মৃতিভারাতুর...
উপশম নেই বলে ফিরিয়ে দিও না। তার
পারদে দু’হাত রেখো,
বকুল ঠাকুর।
ভাল হয়েছে পুরো লেখাটাই । আপনার কবিতাগুলি পড়ি, মজবুত কবিতা, প্রতিটা লাইনে শব্দে অক্ষরে কবি হিসাবে ঋদ্ধ মনেহয় আপনাকে । লিখুন আরও, পড়তে থাকব ।
উত্তরমুছুনভারী সুন্দর লিখেছ ভাই শাশ্বতী । এই সিরিজের লেখাগুলো খুব টানে আমায় , আগেও একবার বলেছিলাম তোমাকে
উত্তরমুছুন