সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

প্রশান্ত গুহমজুমদার



পেয়ালা


(২৫)

রাত্রি কাঠকুটো আগুন মুক্তা শান্তি জল মাটি। নিঃশব্দের দালান। কেহ ডাকিতেছে। স্থির এবং অনুযোগহীন। অসমাপিকা ক্রিয়া অনুপস্থিত। সুতরাং পথের পাথর। দক্ষিণের দিকে। এই যে দূরত্ব, অদ্যাবধি অপরিমেয়। যেরূপ তৎসম। একটি সারমেয়, একমাত্র, তথাপি নির্দেশমত সঙ্গে। অনুগত, তাই প্রশ্ন নাই। রাত্রিকে দেখি। অভূতপূর্ব অসম্পূর্ণ। পেয়ালায় কি পূর্ণ কিছু ছিল! আগুনে স্ফূর্তি দেখিতেছি। কাঠকুটো। মাটিতে। কলসে, যাহা অন্তিম কেহ তুলিয়া ধরিবে শূন্যের দিকে। অপূর্ব দূর, এ কারণে অপেক্ষা এবং মুক্তা অবধি ভাবিতে পারিতেছি।  ভাবিতে পারিতেছি, বর্ণময় আঁচলের দৃশ্য। মাটি আগ্রহী হইয়া উঠিতেছে। যেহেতু মৃদু কম্পন। এত দূর অবধি এই মাঘে।

(২৬)

এই ভাঁজ এবং ভানসমূহ লক্ষ্যণীয়। অর্থাৎ অদ্যাবধি অন্যমনস্ক তোমাকেই বলিতেছি, এই টেবিল এবং কাঁটাচামচ বিজড়িত মাংস বিষয়ে। সুতোসমস্ত যে আলপনায়, সেই বর্ণে তাঁহাদের উদ্বেগ-ও অমূলক। যেহেতু জানালাটা খোলা। কবে শেষ চিঠি? পথ যে কালে রূপকথায় মনোরম? এই ত্রয়ীর গল্পে আরো কিছু ছিল। যথা, আঙুল, সঙ্গভয়, আলো এবং অকিঞ্চিৎ একটি সারমেয়। আর কতবার দেয়াল চিত্রিত করিব!

(২৭)

এই পেয়ালা। তোরঙ্গ। জটিল। পেয়ালা দিয়ে থাকে। কত কিছু দেয়। প্রণয়। ফোঁটা ফোঁটা। কিশমিশ। ঈষৎ তুষারপাত। অবহেলা। যেহেতু উষ্ণতা। যেহেতু ওম। রাত্রি অবনত। সচেষ্ট। অথচ পরিব্রাজক। পেয়ালা এবং তোরঙ্গ ক্রমশ পরিণেয়। ক্রমশ পরিজ্ঞাত। হাতে হাত। করতলে বোধকরি স্মৃতি ছিল। পেয়ালা গ্রহণ করে। তোরঙ্গ। শিরীষসব বৃদ্ধ, তথাপি এই সম্মিলনে পারস্পরিক কৌতুক করে। পাতা হইতে তাহাদের জল, কিছু মঞ্জরী দেয়। আহত আর্তনাদ, মহিষের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন