হে
নৈঃশব্দ প্রেম
অযুত
বর্ষের অজানা দৃষ্টি জানে প্রত্যেক চেতনার আড়ালে জেগে থাকে সমর্পণ। অন্ধকার গভীর হলে বাড়তে থাকে আলোর প্রত্যয়। নীড় ভাঙা পাখি জানে আগামী ঝড়ের অনুমান। জল হওয়া ও প্রকৃতির ভালোবাসায় অঙ্কুরিত
হয় একটি প্রাণ। যার আমি নাম
দিলাম প্রেম। নিঃশব্দ চরণে
একটি একটি দিন গড়িয়ে গেলে জেগে ওঠে
মহীরুহ, যদিও এক পলকা তান্ডবে তা মিশে যেতে
পারে অসীমে। প্রতিটি মুহূর্তে
থাকে তার সঙ্কট। নিঃশব্দ চরণে
ঢেউ আসে, ম্যাপলের পা ছুঁয়ে চলকে পড়ে নোনা জল। আমি কাঁচারাস্তা পেরিয়ে এসে দাঁড়াই ফুটপাতে। এখনো মাথাটা টলছে, গাছগুলো দুলছে, নাভিশ্বাস উঠছে পৃথিবীর। না এখনো অনেকটা পথ বাকি। যেখান থেকে শুরু হবে এক নতুন সংলাপের।
অবসর
যখন হাতছানি দেয়
হারাতে
হারাতে খুঁজি কুয়াশায় ভেজা রুমাল
বিনিদ্র
রাজপথ করে কানানানি
সময়
এখন একটু জিরিয়ে নেওয়া
চঞ্চলতা
ফেলে গেছি বহুদূর
ধূ
ধূ মাঠ শুধুই পাতা নরম শীতের রোদ্দুর
নবান্নের
আগমন বার্তা
বৈশাখী
হওয়ায় ভেসে আসে নতুনের আলাপ
বরফের
চাদর গায়ে ছুঁয়ে দেখতে চাই
হিমালয়ের
ভাবাবেগ
ওল্ড
সিল্ক রুটের ভ্রমণের সমাপ্তি ঘটেছে
সমাপ্তি
বর্ষাস্নাত পাহাড়ের জলোচ্ছাস
এখন
বেঁচে শুধুই হিমশীতল বাতাসের
ওষ্ঠহীন
স্পর্শের আকুলতা
যদি
নদী হতাম
যদি
নদী হতাম
দূর
দুরান্ত এ দেশ ও দেশ ঘুরে ঘুরে
আপন
ছন্দে চলতে চলতে
কতো
তৃষিত পাহাড় মরু
সিক্ত
করে পরিপূর্ণ করে
গাছ
গাছালির সাথে সখ্যতা
কতো
সুখ দুঃখের গল্প
আকাশে
বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে
বয়েই
যেতাম ভেসেই যেতাম
দূর
থেকে দূরে আরো দূরে...
সত্যিই
যদি নদী হতাম...
ছন্দের খেলা প্রকৃতি ও প্রাণের
উত্তরমুছুনসন্চারী অনুভূতি
কবিতা এখানে জীবন্ত ছবির
শব্দের কেরামতি।
ভাল লেখা হলে পাঠকের চোখ
কবির দেখাতে মেলে যে
কবিতার ভাব শব্দবন্ধে পরখ
পাঠের গভীরে ভরে সে !