ছাপোষা
অবাধ
ক্ষয়ের মাঝে বিলকুল সুন্দরী এই ভূতভৌরি,
অসংখ্য
স্লোগানের পর অস্থিসার ফরত গাছের কাঁটায়
নির্মম
কালো রং,
তার কাছ দিয়ে খড় বোঝাই ভ্যান
চলে
গেলে,
উড়তে থাকে শুকনো বাঁশপাতা-
নিতান্ত
উন্নাসিক এই খালপাড়-
শুধু
মদের বোতল আর খালি পায়ের দাগ নিয়ে
জলের
দিকে তাকিয়ে থাকে ধুলো মাখা বৃদ্ধ হিজল-
এবার
মাত্র কয়েক পা এগিয়েছে রুদ্র; ঘামে ধুলো মিশে যায়
ছাতারপাড়া
প্রতীক্ষা
করতে করতে বড় হয়ে যাচ্ছে দেবকী তনয়া
তার
কৈশোর মকুব করতে করতে রোদ পুড়ে যায়।
ছায়া
জুড়ে টুকটুকে বটফল আর তৃষ্ণার্ত পাখির ঠোঁট,
এবড়ো
খেবড়ো পথ নিয়ে পাড়াগাঁয়ের বাতাসেরা নথি হীণ,
কয়েক
জোড়া ছাতারপাখি সকাল বসে নারকেল পাতায়
পালকে
জুড়ে নেয় কম্পিত অহংকার
তারপর
সেই একই নাবাল-আকাশের সুখ থেকে
কালো
রং মাখে পুকুরের জল - উৎসমুলে স্রোত ভেসে যায়
রোদপথ
দেখতে
দেখতে এগিয়ে যায় এক নির্বিকার সূর্যপথ
ধুলোর
ফাঁদ নিয়ে যতই অপেক্ষা করুক বিচ্ছিন্ন সাঁকো
উচ্ছ্বলতা
জেগে আছে শিমুল গাছের যৌবনে-
যেসব
আঁধারগুলি গেয়ে যায় তরঙ্গগান, তাদের পারাপারে
নিশ্চিত
হলদে রঙের কলাবতী, ঝোপ নিয়ে গর্বিত টুনটুনি
ডিম
পাড়ে আকাশি স্বপ্নে; উজাড় করা বিনম্রে বাতাস আসে-
আঁচল
উড়িয়ে মেঘ ভাঙতে থাকে আটপৌরে পথের খালপাড়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন