বারুদের
দাগ
তামাশার
বাঁশির সামনে সব পৃষ্ঠা একা
ফুসফুসের
ভিতর আটকে রয়েছে ঢেউ
এ জন্ম
ছিল ক্ষয়িত
তারও বেশি পরাজিত
মনের
সব প্রকোষ্ঠের দ্বারে
ওরা চাবুক
ঝুলিয়েছে
যদিও
মাঝে মাঝে গল্পের দু’লাইনে
গম্বুজ চুঁয়ে নেমে আসা জল
যমুনাতীরে নিয়ে যায়
আর
সেপথে হরিণের অক্ষরগুলি গতি পায়
তবুও
কিছু জলপ্রপাত
পালকের আড়ালেই নেমে আসে
যেখানে
অস্থায়ী বিনিসুতোয় জড়িয়ে
কারা যেন জলের মর্মে নিঃশ্বাস
জমা রাখে
এবং
স্নানপর্ব শেষে নগ্ন শরীরে জেগে
থাকে
বারুদের দাগ
এককৌটো
নকুলদানা
সারাদিন
নজিরবিহীন করে চলেছি একটা নিমগাছকে
সেও
আমাকে
আয়নার
আদালতে
আমার বিষণ্ণকাঁটা বারোটার ঘরে
আছে
কেননা, ঘরের কোণে ঠাসাঠাসি করে রাখা
তাম্বূলরাগসম্পন্ন
ঘড়া
গন্তব্যের
কথা প্রসঙ্গে
আমার পদচালনাগুলো ঢুকে যায় নিঃশব্দে
অনন্ত গোলকযাত্রায়
কিন্তু
কোডের বন্ধনীতে ধরে রাখতে চাইছিলাম
এককৌটো নকুলদানা
যেখানে
ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে ঘর-ঘরণীর পাঁজরা
আর খিড়কিদুয়ার দিয়ে কীভাবে যেন
বসে যাচ্ছে
কাটাকুটির মেছোবাজার
এক
গণ্ডূষ জলের ছিটেফোঁটায়
কোনো এক মরুময়ের জোয়ার
নেমেছে
অথচ
কথা হয়েছিল পাখির ডানায় জ্যোৎস্না ছড়ানোর
হিসাবিকেতনের
পরিশেষে
সবকিছু একদিন শুনশানে শেষ হয়
উদবাহকাল
দিনযাপনে
ছিল চালতা দুপুর
টিপের
ভেতর পার হয়ে যাচ্ছে
লবণ
জলের উদবাহকাল
তবু
লম্বা একটা আয়ুর জন্য
ধোঁয়া পুষে রাখা গোপনীয়তা থেকে
মৃত্যুযোগ খুঁজি
নদী
বেড়ে গেল
আর
ফল গড়িয়ে গড়িয়ে সব রেখা মুছে গেলে
সর্বশেষ
জানতে পারি
বাদামের খোসা ছাড়ানো
পাথেয় আজ
অভিশাপ কুড়ানি
অসার্থকগুলো
গান হয়ে বেজে গেছে
ছাতার
নিচে বেঁচেবর্তে আছে কিছু কর্তব্য
সূর্যোদয়
থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ব্যাপনে আছে আকাশ
সব
পঙক্তিশেষে আমি হাঁটতে থাকি
সারমাত্র হয়ে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন