সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

ফারহানা রহমান




জ্যাক লন্ডন - বিতর্কিত কিংবদন্তী এক অমর লেখক



জ্যাক লন্ডনের লেখা হোয়াইট ফ্যাংবইটি প্রথম পড়ি ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায়।  সদ্য চোখফোটা নেকড়ে শাবকের গুহার মুখ থেকে প্রথম আলোকময় পৃথিবী দর্শনের বিস্ময়কর অভিভূত বর্ণনা পড়ে একই সাথে আমিও বিস্ময়ে অভিভূত ও মুগ্ধ হয়েছিলাম বেশ কিছুদিন। সেই থেকে শুরু। একে একে পড়লাম কল অফ দা ওয়াইল্ড’, ‘দি সি উলফ’, ‘আগুন জ্বালতে হলে’( To Build a Fire), ‘জীবন তৃষ্ণা’ (Love of Life), ‘বিধর্মী’, ‘গল্পের শেষে’, বিশেষ করে এক টুকরো মাংস’, যে গল্পটি আমাকে আজও ভাবায়। তবে তাঁর মাস্টারপিস কল অফ দা ওয়াইল্ড সম্পর্কে আলকপাত না করলেই নয়। কারণ এই উপন্যাসিকাটি একসময় ইতালি এবং যুগোস্লাভিয়াতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল।  

জ্যাকলন্ডন ছিলেন একই সাথে বিখ্যাত মার্কিন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, ছোট  গল্পলেখক  প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি সানফ্রানসিসকো,  ক্যালিফোর্নিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেনে। মাত্র ৪০  বছরের তাঁর সংক্ষিপ্ত কিন্তু প্রবল ঘটনাবহুল জীবন যেন রূপকথার মতই বর্ণময়, এক কথায় বিস্ময়কর গতিশীল দুর্বার জীবন। তিনি বিশ্বের দ্রুত বিস্তারলাভকারী  বাণিজ্যিক কথাসাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং বিশ্বব্যাপী সেলিব্রিটি হিসেবে একসময় আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর  ফিকশন গল্পগুলো এতটাই আকর্ষণীয় ছিল যা আজ পর্যন্ত  বিশ্বসাহিত্যে সমান জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।  লন্ডন ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা অনুরাগী লেখক। আর সেজন্য তাঁকে কম মুল্য দিতে হয়নি! তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত   কাজের একটি হচ্ছে কল অফ দা ওয়াইল্ড’ যা বিশ্বসাহিত্যে মাস্টারপিস হিসেবে সন্মানিত। ১৯১৬ সালের ২২শে নভেম্বর মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।     

জ্যাক লন্ডন বড় হয়ে ওঠেন শ্রমিকশ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত একজন হিসেবে।  দারিদ্রপীড়িত শৈশবে জীবন ধারণের তাগিদে প্রত্যেকদিন অন্তত ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তাঁকে পরিশ্রম করতে হতো । তাঁর ছেলেবেলা কেটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডের এক  বস্তিতে। একসময় ঝুপড়ি বস্তি ছেড়ে জ্যাক বেরিয়ে পড়েন পৃথিবীর পথে। আর এভাবেই ধার করা টাকা দিয়ে এক সময় কিনে ফেলেন র‍্যাজেল ড্যাজেল নামক এক পুরনো জাহাজ এবং তখন তিনি এক রীতিমত ঝিনুকদস্যু। কিন্তু সেই জাহাজ   ডুবে যাওয়ার পর  তিনি বাধ্য হয়ে মৎস্যজীবীদের দলে যোগদান করেন এবং পরে জাপান উপকূলে স্কুনার নিয়ে যানএর পরের কয়েক বছর, খাবার কারখানার  শ্রমিকের কাজ থেকে শুরু করে কয়লা উত্তোলন, পাট কলের কেরানী, শীলমাছ শিকার, শুঁড়িখানার বিক্রেতা ইত্যাদি সব কাজই তিনি করেছেন। ভবঘুরে হিসেবে সারা  আমেরিকা ঘুরে বেরিয়েছেন আর এইজন্য তাঁকে জেলও খাটতে হয়েছে। এরই  মাঝে তাঁর হাতে আসে কার্লমার্ক্সের কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো, যা পাঠ করে চির  ভবঘুরে জ্যাক অন্যরকম জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠেন। এবং বাকী জীবন তিনি সমাজতন্ত্রে সুদৃঢ় আস্থা রেখে তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যান।   

জেল থেকে বের হওয়ার পর জ্যাক বুঝতে পারলেন যে, পেশীশক্তি বাড়ানোর চেয়ে মেধাশক্তি বাড়ানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ফলে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিরে গিয়ে স্কুলে ভর্তি হলেন। পরে কলেজে পড়ার সময় একটি দৈনিক পত্রিকায় একটি গল্প  প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। তখন থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করার। এরই মাঝে ১৮৯৭ সালে তিনি স্বর্ণ সন্ধানীদের সাথে হুজুগে  মেতে কলেজ ত্যাগ করে আলাস্কা ও ক্লোনডাইকে যাত্রা করেন। একসময় জ্যাক কপর্দকহীন অবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিরে আসেন তবে সঙ্গে নিয়ে আসেন  সোনার চেয়েও অনেক মূল্যবান তাঁর এতদিনের অভিজ্ঞতার ঝুলি যা দিয়ে তিনি দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন।  

উত্তরের প্রচণ্ড শীতে কুকুর ও নেকড়েদের মাঝ থেকে তিনি যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন, পরবর্তীতে তাই তিনি লিখে যান একের পর এক জগতবিখ্যাত  সব  গল্প-উপন্যাসে জ্যাক  লন্ডন একটানা ষোল বছর লেখালেখির কাজে জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে ছিল উনিশটি উপন্যাস, আঠারোটি ছোটগল্প ও প্রবন্ধের বই এবং আরও বেশ কিছু অন্যান্য বিষয় ভিত্তিক বই।

১৯০২ সালের শেষের দিকে জ্যাকের মাথায় কুকুর নিয়ে এক গল্প খেলে যায়, এটিকে তিনি ৪০০০ শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেন কিন্তু একসময়  আবিষ্কার করেন যে গল্পটি আসলে মাত্র বলা শুরু হয়েছে। এবং সেই প্রথমবারের মত তিনি বুঝতে পারেন যে, লেখার সময় গল্পের চরিত্রগুলো নিজে থেকেই জীবিত  হয়ে ওঠে আর সে চলে তার নিজের খেয়াল-গতিতে, যেখানে লেখকের আসলে  তেমন কিছুই করার মত ক্ষমতা  থাকে না। এইগল্পের নাম দেন তিনি ‘কল অফ দা ওয়াইল্ড’যা বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাসে এই উজ্জ্বল সৃষ্টি হিসেবে গণ্য হয়।     

এ গল্পের প্রধান চরিত্র বাক  একটি  চার বছর বয়সী বিশালদেহী আধাসেন্টবার্নারড এবং আধাস্কটিশ মেষপালক কুকুর। সে তার ধনী মালিক জজ  মিলারের অত্যন্ত প্রিয় ও আদুরে কুকুর হিসেবে  ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারাভ্যালীর রেঞ্চে সুখে- শান্তিতে দিনযাপন করে আসছিলো। ঠিক এই  সময়টাতেই  উত্তরে স্বর্ণখনি আবিষ্কৃত হয়। এবং বড় সাইজের কুকুরগুলো হঠাৎ খুবই মূল্যবান উপাদানে পরিণত হয়, যেহেতু এরা খুব শক্তিশালী ছিল এবং গভীর বরফক্ষেত্র থেকে  স্লেজগুলিকে টেনে আনতে পারতো আর ঠিক এ সময়টিতেই  হঠাতই একদিন বাকের জীবন একটি নাটকীয় মোড় নেয়, যা এক অর্থে  নারকীয়ও বটে।

জুয়ায় আসক্ত জজের এক অসাধু দাস বাককে চুরি করে উত্তরের কুকুর কেনা বেচার ব্যবসার সাথে জড়িত একটি চোরদলের কাছে  বিক্রি করে দেয়। সে এই প্রথমবারের মত খাচায় বন্দী হয়ে ভ্রমণ শুরু করে এবং আলাস্কাতে বিক্রি হয়ে যায়,  যেখানে কুকুর স্লেজই পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। 

বাক এখানে  কুকুরদলের সাথে একসাথে  থেকে কী করে স্লেজগাড়ী টানতে হয়, কী করে ঘুমের জন্য বরফের ভেতর গর্ত তৈরি করতে হয়, কী করে চিরস্থায়ী ক্ষুধা  যন্ত্রণার মধ্যে বেঁচে থাকতে হয় এবং কখন কী করে পশুদের সহজাত বুদ্ধিমত্তার  উপর নির্ভর করে চলতে হয়, সেটাও তাকে বাধ্য হয়ে শিখতে হয়। এবং একটি ব্যাপার সে বুঝতে পারে যে, তার মধ্যে সহজাত পশুপ্রবৃত্তি অত্যন্ত প্রখর। ফলে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই যে পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষকে মুহূর্তের মধ্যে ঘায়েল  করে ফেলতে হবে আর তা না হলে যে  নিজেরই জীবন এসব পরিস্থিতিতে বিপন্ন হয়ে উঠতে পারে, সেটাও তার বুঝতে বাকী থাকে নাএকই সাথে সে বুঝতে পারে যে এই বরফাচ্ছন্ন উত্তরের জীবনে তাকে প্রতি মুহূর্তে সতর্কতার সাথে নানা প্রকার অস্বস্তি ও ক্রমাগত ব্যথা বেদনার সাথে জীবন ধারণ করার অভ্যেস গড়ে করতে  হবে।    
       
দিনের পর দিন ক্ষুধার্ত থেকে থেকে বাকের কাঁচামাংস ও রক্ত খাওয়ার আদিম প্রবৃত্তি আবারও জেগে ওঠে। একই সময়ে স্লেজগাড়ি টানার প্রধান কুকুর স্প্লিটজের  দ্বারা  নানা ভাবে উত্যক্ত হয়ে হয়ে একসময় বাক সুযোগ বুঝে ওর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর যুদ্ধের মাধ্যমে নিজের সুযোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে নেয়। এবং তার  ফলেই সে তার দুই মাস্টার ফ্রাসোয়া ও পেরল্ট-এর কাছে একসময় খুবই প্রিয় হয়ে ওঠে।
   
পরবর্তী সময়ে বাক-এর নতুন  স্কটিশ মাস্টার একটি অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে প্রায় অসহনীয় অবস্থায় বাককে কাজ করতে বাধ্য করে। বাক ছাড়া আর প্রায় সব কুকুরগুলোই এ অবস্থায় পথিমধ্যেই মারা পড়েযদিও এই পরিস্থিতি সামাল দিতে  গিয়ে ক্ষুধা তৃষ্ণায় বাককে ভয়ংকরভাবে তার ওজন হারাতে হয়। বাক পরবর্তীতে বিক্রি  হয়ে যায় তিনজন একেবারেই অপেশাদার তবে দুঃসাহসী, ভ্রমণকারীদের কাছে। এরা হলো চালস, হল ও  মারসেডিস। এরা এমন একটি দল  যাদের কোনো ধারণাই নেই যে কীভাবে বরফাচ্ছন্ন উত্তরের তীব্র প্রতিকূল পরিবেশে কুকুরের  দলকে সুসংগঠিত ভাবে পরিচালিত করতে হয়। বা তাদের যত্নের সাথে সুপরিকল্পিত ভাবে পথ প্রদর্শন করে সামনে এগিয়ে নিতে হয়। এরই ফল স্বরূপ অর্ধেক রাস্তায় যেতে না যেতেই খাবার ফুরিয়ে যায় এবং বাক  সামনে এগোতে অস্বীকৃতি জানায় এবং সে পরবর্তী সময়ের সমূহ বিপর্যয়ের আশংকাও করেযদিও এজন্য তাকে প্রচণ্ড নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় যে সেই দুঃসাহসী অপেশাদার ভ্রমণকারীগণ ও তাদের বাকী জীবিত কুকুরগুলোর  বরফাচ্ছাদিত  নদীতে সলিল সমাধি হয়।

 আর এখানেই বাক-এর সাথে পরিচয় হয় জন থরন্টন নামক একজন দয়ালু ব্যক্তির যার নিরলস সেবায় বাক একসময় নিজের হারানো স্বাস্থ্য ফিরে  পায়। এতে করে বাক তার নতুন মাস্টারের প্রতি গভীর আনুগত্য ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করতে থাকেসে মাস্টারের সাথে ছায়ার মত থেকে তাকে সব ধরনের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।  কিন্তু এসব কিছুর পরেও বাক একদিন গভীর জঙ্গল থেকে এক রহস্যময় ডাক শুনতে পায়, যা তার ভেতরের বহু পুরাতন ঘুমন্ত সত্তাকে  তীব্রভাবে জাগিয়ে তুলতে চায়।    
     
এরপর জন থরন্টন বাককে নিয়ে সভ্যজগতে ফিরে আসলে একটি মাতাল খনিজীবি তার উপর হঠাত আক্রমণ করে বসে। ফলে বাক তৎক্ষণাৎ লোকটাকে হত্যা করে। এবং পরবর্তীতে তিনি আবারও নদীর স্রোতে ভেসে গেলে বাক তীব্র স্রোতের প্রতিকূলে নিজের জীবন বিপন্ন করে মাস্টারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। 
     
জন থরন্টনের মৃত্যুর সাথেই শেষ হয়ে যায় সভ্য জগতের সাথে বাক-এর সমস্ত  লেনদেন। সে ফিরে যায় তার বন্য জীবনের নেকড়েদের মাঝে। কিংবদন্তী আছে যে বাক নেকড়ে ও কুকুরের সংমিশ্রণে একটি নতুন বংশবৃদ্ধি করে, যারা এখনো গ্রেট  উত্তরের বন্য জায়গাগুলোতে ঘুরে বেড়ায় এবং মধ্যরাতের প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মানুষ তাদের গান এখনো শুনতে পায়।    
                
১৯০৩ সালে প্রকাশিত কল অফ দা ওয়াইল্ড’  জ্যাক লন্ডন-এর সবচেয়ে পঠিত ও সবচেয়ে ভালো বই বলে মনে করা হয়, যা মাষ্টারপিস হিসাবে প্রশংসিত হয়।
জ্যাক লন্ডনের এই লেখাটি ১৯২০ এবং ১৯৩০ সালের মধ্যেকার সময়ের  বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় একনায়কতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থার জন্য মোটেও গ্রহণযোগ্য ছিল না। এরই ফলস্বরূপ লেখাটিকে  ব্যানড’ বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।    

১৯২৯  সালে ইতালি ও যুগোস্লাভিয়াও কল অফ দা ওয়াইল্ড’ উপন্যাসটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, কেননা লন্ডন এই লেখাগুলোতে স্পষ্টভাবে সমাজতন্ত্রের সমর্থক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এছাড়াও ১৯৩৩ সালে নাৎসিপার্টি লন্ডনের কাজগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।  

‘কল অফ দা ওয়াইল্ড’এ আমরা দেখতে পাই যে, বাক প্রথমে তার আরামদায়ক  অস্তিত্ব থেকে দূরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং নিজেকে একটি সফল স্লেজগাড়ির কুকুর হিসেবে গড়ে তোলে এবং একসময় নিজেকে নেকড়ে দলের নেতা হিসেবেও প্রমাণিত করে। ফলে সে নিজেই নিজের দেবতা হয়ে ওঠে।

সম্ভবত এই জিনিসটিই ইউরোপীয় শাসকশ্রেণীর কাছে সবচেয়ে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, যেখানে দেখানো হয়েছে যে, শ্রমিকশ্রেণী নিজেদের ক্ষমতা  উদ্ধারের জন্য শাসকশ্রেণীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে এবং নিজেদের ক্ষমতাধর হিসেবে সমাজে তুলে ধরছে। আসলে  একটি একনায়কতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা ততদিনই টিকিয়ে রাখা সম্ভব যতদিন রাষ্ট্রের জনগণকে অবরুদ্ধ করে রাখা যায়। ফলে তারা  এমন একটি বইকে চিরকালের জন্য ঢালাও ভাবে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়েছিল,  যেখানে একজন নিজের সত্য সত্ত্বাকে খুঁজে নিতে এবং সমস্ত বশ্যতাকে অস্বীকার  করে নিজেকে নিজের দেবতা ভাবতে পারে বলে মনে করা হয়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন