ফাগুন হে
(এক)
আমার শূন্য অন্ধকারে তোমার বারবার প্রলম্বিত পায়ের
শব্দ বেজে ওঠে। নদীর দিকে হাত বাড়াই; বিস্তারিত রোদে ভরে
আছে জল, কুসুমিত বন। বনের অসংখ্য গন্ধে গতরাতের মৃতদেহ। আত্মশুদ্ধি কী একেই বলে তথাগত? একে বলে বিরহের কারুকাজ? ছেড়ে আসা পলাশের ফুল সকাল
সকাল নাইতে যাচ্ছে রোদের জলে। আলনার পুরনো আসবাব ভাবছে এই তোয়ালে ঘিরে তৈরি হোক
জন্ম মরণ। এইসব কাঠ জন্ম, পার্কের চেয়ার, ডিমনার লেক ছাড়িয়ে একমাত্র সত্য
হচ্ছে গোচারণের মাঠ। নক্ষত্র ফুল হে! একটি নামে ঢাকা থাক অজস্র স্মৃতি, মনের দু'চারটে বিভ্রম।
(দুই)
সমস্ত
দোষারোপ ঘিরে এ বসন্তোৎসব। এত এত পালকের ভ্রম, ঝরে যাওয়া পাপড়ির
বিশ্বাস -- হিসেবের খাতাতে শূন্য পড়ে অধিক। জমে ওঠে গতকালের শীত। স্থির তামসিকতায় তোমার সাধনা গৃহ
পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। পাঁচ আঙুলে ঘোরে গ্রহের
ভাগ্য -- ঘুরতেই থাকে। ছায়াগাছ ঘিরে তোমার প্রদক্ষিণ -- দেখো, মৃত সাপেরা বমি করছে চন্দনের গন্ধে অকালে।
(তিন)
সবুজে ভরে উঠছে এই মঠাকাশ। দলমার বুকে রক্তাক্ত
উপাসনা,
পলাশের রঙ। আগুনের উত্সব শুরু হল বলে! তুলসী মঞ্চের আলো পেরোতেই
যতটুকু অনীহা আমাদের। তুমি বলবে, এসবই পূর্বজন্ম। এসবই তুলে রাখা ক্ষোভ। পোষা পোষা খেলা এই যন্ত্রণা কত
আলোকবর্ষ ব্যতিরেকে ঘুরে আসছে আমার নিঃসঙ্গ ড্রয়িং রুমের পেন্টিং। আমাদের হোলিখেলা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন