কত নীচ থেকে উঠে আসে
বলে সময় যায়
জল
চলে যাওয়ার পর, আমি দাঁড়িয়েছিলাম... কলতলা
গানের
কথাদের এই ভাদ্রে নিংড়ে নিয়ে ঘর্মাক্ত জলায়
হেঁটে
নেমে গেল পূর্ব রোদের, ঝুরি ঝুরি রশ্মিকণা
তার
ভিতর আলো আলো ধুলোর ছবি, তুলে এনে
চারজনাই
আমরা
সমুদ্র হাওয়ায়, ঢেউয়ের পশমে শুকিয়ে নি মাথা
জন্ম
দোষ, আমাকে ছেড়ে গেলেও, এখনও শুকায়নি পাতা
সেইসব
গাছের কাছে বৃষ্টি এসে তুলে ধরে শিকড় জোর
যেন
কোনো শক্তি আজ ছিল না জলে, যে স্নান করাতো,
পাখির
বাসায়,
দু’মুঠো
খড়, এখনও পাবে বলে, যে গরুটা কথা বলে,
মাতৃভাষায়
তাকে
দেখে এত করুণ হয় চোখ, যেন মানে উড়ে যায়
কান্না
অভিধানে,
মানে
উড়ে যায় চিৎকারের।
এখন
প্রশ্ন আসে তুমি একা কেন এই আগুনের ছিটে,
অর্ধেক
কাটা চাঁদের ফলা...
যাকে
ছেড়ে যায় জল, তাকে কোনোদিন ছেড়ে যায় না
অন্ধকার
শ্যওলা চাকায়, ফর ফর শব্দ হয়ে উঠে আসা
গহীন
জলের
কলতলা।
ঘামজলে
যা হয় না
গমের বস্তা ঠুকরে ঘোলা পায়রার ঠোঁট ভেঙেছে...
সকালছায়া জেনেছে, আমাদের উঠোনে, শুকনো বীজ
বসে আছে, কাদার তলায়।
অঙ্কুরিত ঘ্রাণ স্পর্শ করতে হলে, তাকে নিয়ে যেতে হবে,
অগ্নিস্তোত্রে,
অনির্বাণ আলোর ফলায়।
যতক্ষণ না শিকড়ের প্রথম পায়ে হাঁটার শব্দ পাবে মাটি
অনিবার্য কারণই কেউ নিচে বেড়ে ওঠার গতিবেগ খোঁজে
সমস্তটাই ক্রন্দনছাপ,
ওই পেয়ারা পাতার রান্নাঘরের চাল
তোমার ফ্যানের ধোঁয়া, বইতে বইতে
যে নদী নালা উপকূল ফেলে
সমদ্রেই মেশে,
তা
আমার দু’চোখ বোঝে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন