অথ কালনাগিনী কথা
(১)
একদা মুঠোয় ছিল নীলকান্তমণি
সর্বরোগহর এই পাথরটি যিনি দিয়েছেন
বিনিময়ে-প্রথা মেনে কড়ায়গণ্ডায় তারও হাতে
তুলে দিতে হয়েছিলো বেদিনীর তেজি,
লাল হাসি
সহায়-সম্বলহীন ভয়ে ভয়ে দিন কাটে। দেখি,
পাথরে ক্ষয়ের ধর্ম, ক্রমে ফণা তোলে বিষধর...
(২)
ভুল পায়ে প্রণাম করেছি এতদিন...
ধুলোর সমীপে চোখ, মাথা নীচু
- ফলত বুঝিনি
কীভাবে প্রেমিক মুখ বদলে যায় একান্ন ফণায়
হলুদ লোভের চোখ এঁটো করে চরাচর। আর,
কঠিন কশেরু ভেঙে সরীসৃপ হেঁটে যায়
ব্যর্থফণা প্রণামের পথে...
(৩)
আস্তিনে গোটানো ছিল, আজ বেরিয়েছে তার ফণা
বনওষধির গন্ধে ভয় পায়না সরীসৃপ আর
যে বিষ পুষেছ মেয়ে দুধ কলা দিয়ে এতকাল
সে আজ ছোবল মারলে, দোষ দেবে কোন দেবতার?
(৪)
এতটাই বিষ তার, শব্দকেও রেহাই দিলো না
গল্পটি তরুণ,
তায় চাঁদের সন্তান
লোহার বাসরঘরে কারা তাকে রেঁধে দেবে
আঁচল পুড়িয়ে লাল ভাত!
কালনাগিনীর সামনে তুলে ধরবে রক্তমাখা জাঁতি!
শেষরক্ষা হবে?
না, কী কটিতে ঘুঙুর বেঁধে ফের
কাহিনীর শব নিয়ে কলার ভেলায় ভেসে যাব?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন