ধনতেরাস
সোনা বেয়ে কথা চুঁইয়ে পড়বে কাঁধে ঘাড়ে
এমন পছন্দ বলে মাকে বলেছি
আমার এ মুখে কানপাশা মানায় না
ভয় পেয়েছি কিছু শব্দ সরে না যাবার
চেপে বসে থাকা আতঙ্কের
খনিজ নারী শরীরে গতজন্ম ছেয়ে থাকে বর্তমানে
আর লাভের ক্ষত...
মন্দ মেয়ে সিকি-আধুলি-লক্ষ্মীর ঝাঁপি
ত্রয়ো... দোষী।
বাস্তুকল্প
আধজীবন পেরিয়েছো, পাঁচ আঙ্গুলে
দুপুর রোদে এঁকে দিলে ভোরের আভাস
তোমার শৈশবকুচি
কুয়াশার মাঝে ফুটে ওঠে মেটে গেরস্থালি
ভিতের দায় একান্তই তোমার নয়
তুমি জোগাড়ে থেকো...
আমার এস্রাজে ভাগ বসালে
মুঠো মুঠো শঙ্খচিল ধরে রাখি বুকে
জোনাকিদের বলে দিও,
তোমার শুধু সাঁঝবাতি তুমুল গৃহকোণ।
সিঁথিলাল হয়ে ওঠা তোমার জামায়
বিস্ফোরক অন্তরা গায় সহবাসি
নিশিডাক...
মিথস্ক্রিয়া
দেখি তোমার হুহু ঘরদোর খালি
তোমার ফাঁকা দেওয়ালে ছবি আঁকি
জানালায় হাসি লিখে রাখি
বুকভরে তোমার বদমেজাজ নিয়ে
পুরনো ঘুলঘুলি মুড়িয়ে রাখি
দখলদারির টহলে বুনো হাঁসের ডানা
পাণ্ডুলিপি কালশিটে কাঁধজুড়ে
জ্যোৎস্নার কৌমার্য তোমাকে দিয়ে দেখেছি
তোমার সন্ত্রাসেই প্রেম...
মুগ্ধ হতে
হতে পরাজিত হতে চাও কেন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন