বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

পারমিতা চক্রবর্ত্তী




অকারণ ভাবনা

(১)

সমস্ত দিন বসে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের কথা ভাবি
উঠে এসো মারো লাথি,
ভেঙে ফেল কাচের দেওয়াল
এই যে নিজের সাথে মসকরা করো
সমস্ত রাত...

এক ফালি কুমড়োর সাথে শুয়ে থেকো না

আর না...
এবার নগ্ন শরীরটাকে আঁচড়ে দাও

(২)  

মানুষ আজ আর জুতো পড়ে না
জুতোকে জামা পড়ায়
তারপর...

দীর্ঘ পথে একা একা হাঁটে
তুমি ক্রমশ লম্বা হয়ে যাচ্ছ জুতোর মত
আমি যেদিন ওকে দেখলাম বড় রাস্তায়
ওয়াইফাই জোনে ঘাম মুছতে
সেদিন ও রিংটোনে বাজছিল
সময় বড় তীব্র তুমি সচেতন হয়ে ওঠো

(৩)

বিষপিঁপড়ের দল ডিম মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় ভাতঘুম দিয়ে
ছুটতে ছুটতে ওই দূরে ফাঁকা মাঠ
না মাঠ আর ফাঁকা নেই

একদিন পিঁপড়ের ডাক পড়ে দুধ জাল দিতে
দুধ আর ছানার মাঝে নবীন সমীকরণ হয়
সমস্ত কিছু ঠিকঠাক আছে ...

ও পাড়ার ছেলেমেয়েরা ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়িয়ে বিছে মারার স্বপ্ন দেখে
তুমিও কি...

(8)  

দাঁড়ি কমার মাঝে এসে পড়েছো তুমি
মাফলার জড়ানো সন্ধ্যের গালে
চুমু খেতে মৃত কবিদের বাড়িতে বাড়িতে আলো সাপ্লাই...

হে পোড়া শহর তোমাকে শুধু পুড়তে বলেছে
থামতে বলে...


খানিক মেঘ খানিক বৃষ্টি


একটি ভ্রূণ অন্ধকার পথে হাঁটা শুরু করে খানিক মেঘ খানিক বৃষ্টি। শহরে এখন বর্ষাকালবহুদিন আগেই গর্ভপাত বৈধতা পেয়েছে

যে মেয়েটা কলের ধারে রোজ স্নান করে তার শরীরে ভ্রুণ প্রবেশ করেছিল কোনো এক রাজগন্ধী রাতে কিংবা বিয়োনো দুপুরবেলায় কোনো সাপ বা সাপিনীর মৈথুন নির্যাসিত ‘পয়েজনে’ শ্রাবণবেলা খন্ড বিখন্ড...
হত্যার কোনো ‘অ্যালসিসিয়ান’ নাম নেইকতগুলি ক্ষুদ্র ঘটনার কোলাজ বলা যায় 

ডাক্তারী ওষুধের অনেক নামতার মধ্যে একটি
‘ভালোবাসা’ যাকে প্রায়শই মৃত্যুর অনুঘোটক হতে হয়...

প্রসঙ্গত যে ভ্রুণের কথা আলোচনা করা হল তাকে প্রতিদিন ধর্ষিত হতে হয় কবি ও কবিতার মাঝে

কবির কোন পরিচয় থাকা উচিত! ভ্রূণ ও নারীর অন্তরালে...

ভোর
যে ঈশ্বরী রোজ ঘুমোতে যাবার আগে স্মরণ করে বুকের মাঝে  অর্ধেক নীল আকাশের
গোলাপী হয়ে ওঠার গল্প
তার থেকে ধার নিই দু’চোখ

সংলাপের রাত্রিকালীন শব্দে বেজে ওঠে এসরাজ
তুলনাহীন বধূগন্ধে পর্বতের আড়াল থেকে গেয়ে ওঠে ভৈরবী

না আজ সে কোনো সুর নয়  
সিকিমের কোলাহলের অসমাপিকা ক্রিয়ার একটি বৈমাত্রেয় নাম...

শোন!
এই কোলাহলটুকু আমাদের হোক
যার জারজ  নাম ভোরাই...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন