আন-সিন
যদি ধরেও নিই এটা একটা অজুহাত। তাতেই বা কি? পৃথিবীর বাকি কথাদের
সঙ্গে অজুহাতদের বিরোধ
অনেকদিনের।
অতএব; ভুল করে হলেও মেলার জিলিপিগুলোর পাশে, একশো ওয়াটের বাল্ব-এর
নীচে গা শেঁকছে অন্য
কোনো নাম।
ট্রামলাইন সামলে,
প্রেমিক সাজছে,
অন্য কোনো চেহারা।
চোখ-মুখে
কোনওদিন রোদ খেলতে
দেখিনি যদিও...
খেললেও, চোখের
নোনা দেওয়ালে ঠিকরে
ফেরত আসত সে
সব আলোর ভগ্নাংশ।
সদ্য একটা অপারেশান
হয়েছে। বা বলা
ভালো, হচ্ছে।
সবাই মিলে যত্ন
সহকারে, শেষ
বাজারের মত বাচছে
কিছু পরিচিত বর্ণ। একটা
পরিচিত শব্দ।
যা, টাইপিং
অভিধানের নিত্য-নৈমিত্তিক।
তবুও ভেবেছি,
হয়তো চেয়েওছি, এলোমমেলো
হোক আলতো ভাবে। হোক
এলোমেলো। রি-অ্যারেঞ্জ হোক বর্ণমালা। হয়তো হলোও!
কিন্তু আমি উচ্চারণ
করতে পারছি কই?
৫এর যোগবিয়োগ কোথাও কি তবে গুলিয়ে যায়? ২ বা ৪দের কি কাছের মনে হয়?
জানি না।
আপাতত বেশি কিছু চাই না।
একটা স্যালাইনের বোতল দে, একটা গুঁড়ো করা কষ্টের পাউচ প্যাকেট। গুলে নিয়ে অল্প অল্প করে বন্ধুত্ব করাই হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে।
কারণ, তোকে ভালোবাসাটা যে প্রয়োজন!
সেই যে সেই স্টিলের গামলাগুলোয় ভটভট করে ছোট ছোট জাহাজগুলো পাক খায় গোল গোল করে! ওদের ফুটপাথে নামিয়ে আনার মত ভালোবাসা।
ওই যে, যে ছেলেটি ধর্মতলায় রাস্তায় ছবি আঁকে, ওকে আর্ট কলেজে ভর্তি করে দেবার মত ভালোবাসা।
যে লোকটা প্ল্যাটফর্মে সদ্য পেরোলো পনেরোতম বিবাহবার্ষিকী, তার ছেঁড়া পকেটে গুঁড়ো দুধের প্যাকেট রেখে যওয়ার মত ভালোবাসা।
শ্রেষ্ঠ কবিতার মত ভালোবাসা...
শ্রেষ্ঠ কবি...
কিন্তু
কবিতাই কি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন