কেন্দ্রীয় প্রবণতা
প্রতিটি মানুষ ফিরে যায়
কেন্দ্রীয় প্রবণতার দিকে; জীবিকায়।
পিপীলিকা তার নিঃশ্বাসেরও আগে
স্তূপীকৃত গুড় অথবা বিস্কিটের ঘ্রাণে
উন্মত্ত ছোটে।
এরপরে হাওয়া মন্থর
বয়ে যায় সংখ্যাত ভোর, অপরাহ্ণ।
ক্রিমসন আকাশ ঝুঁকে পড়ে আহ্লাদে।
এরপর হাত আছে
চুলের ঝারে চন্দ্রমল্লিকা
নিজ কক্ষপথে সুখী হবার ছল।
তার আগে এবং পরেও
প্রতিটি প্রাণ ফিরে যায়-
কেন্দ্রীয় প্রবণতার দিকে।
যাদুকর
যখন গোলাপ তার গাম্ভীর্য নিয়ে
হেলে পড়ে বিকেলের দিকে
একটি শূন্য বাক্স থেকে
বেরিয়ে আসে একজোড়া খরগোশ।
বিস্ময়ের মতো সাদা।
হাতের কারসাজিতে
ঝকমকে পায়রা গুলো
কয়েন হয়ে ফিরে আসে মুঠোয়।
তবু তোমার আর ভিড়ের ব্যবধানে
লুকিয়ে ডাকে
কোন অভাব!
সাড়া দেবার ছলে ম্যাজিকে ঢুকে পড়ো
অজান্তে।
যাদুকর
তোমার কালো রুমালের ভেতর
প্রকাণ্ড জীবন চাপা পড়ে গেছে ইল্যুশনে।
ফণা তুলছে হাততালি!
প্রস্থান
যে মানুষটা চলে গেছে ইচ্ছে বা অনিচ্ছেয়
আমি তার চোখ, ঠোঁট, চুল খুঁটিয়ে দেখি।
আমি তার ভাষা খুঁড়ে বেদনায় ডুব দিয়ে ফিরে আসি; আহত।
চশমার ফ্রেম, জামার রঙ,
নখ দেখি- চিনি না তবুও।
যে আর ফিরবে না, অবিকল আগের
মতো।
আমি তার অতলে নামি
খুঁজি বিগত সাঁতার,
তার বয়সের ডাল যেন হঠাৎ বাতাসে
ঝরিয়ে দিয়েছে রঙ, বাকল।
মুখবই ঘেঁটে ঘেঁটে মুখোমুখি হই,
যাকে দেখিনি কোনোদিন।
সে ছিল- এই সত্য
সূর্যমুখী বীজ হয়ে ছড়িয়ে থাকে বিশ্বাসের উপরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন