শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়




সেইসব নেগেটিভগুলি   



(১)


অক্ষর ফোটাতে গেলে ইলিশের
গন্ধ ঢুকে পড়ছে লেখায়
এতো ভাত কবে খেয়ে ঘুমের
ভিতর সমুদ্র আর লবণ
করতালি দিয়ে উঠছে

কচুশাক রান্নার নৈপুণ্যে
টের পাচ্ছি প্রাচীন উপকথাগুলি
হারিয়ে যায় নি ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার থেকে


(২)


জানালা খুললেই যে আকাশ দেখা যাবে এমন কথা নেই
গম্ভীর এবং চুপচাপ মেঘেরা ঘিরে
থাকতে পারে লোহার গ্রীল

না রঙ হয় নি অনেকদিন
যদিও পুজো এসে গেল আর শাড়িও

এখন পাড়ায় পাড়ায় শান্তিবাহিনী
বলে গেছে সাবধান জল জমা থাক
পচা গন্ধের কথা কেউ বলো না

তবুও গোপনে সুরতহাল চলে আর
রিপোর্টে লেখা হয় ভুল আবহাওয়া সংবাদ
ভাদ্রেই শীত ঢুকে পড়ে অন্দরমহলে
শীতের বৃষ্টির গল্প না ফুরোনোয় একটা চুল্লির প্ৰয়োজন পড়ে পাড়ায়
এইসব হতে হতে একটা বছর সীমাকে নিয়ে পালিয়ে যায়
তার মসৃণ ঊরুর কথা শুধু ডোম জানতে পারে মর্গের ঠাণ্ডাঘরে
আর একটা গ্রীষ্মকাল ঢুকে ওলোটপালোট তার ভিতর



ভূমিকা রহস্য গল্পের


(১)


চার দেয়ালের ঘেরাটোপে দিওয়ালি
উসকে দিচ্ছে আমিবাজি
ফাটাফাটির তারিফ
পাখিক্লান্ত ডানা দানা না নিয়েই
নীড়বাসে ঘুম প্রার্থনায়
ভাটতমা ওকে একটা ভাটিয়ালি
স্বপ্ন দাও


(২)


মাঠ তাকিয়ে চোখ কুড়ালে
আমি সবুজ হয়ে পড়ি
একটি নিবিড় আদর পাই
বাক্স ভেঙে গেলে
বাতাসের সের সের হাসি

বৃষ্টি পড়তে থাকে আমার ভিতরে
গানও


(৩)


 বিকেল আকাশের হলে
 কুসুম ছড়িয়ে যায়
 ডানা রহস্য গুটিয়ে আনে
 নদীর মেঘে নদী মেঘলা হলে
 কোথাও কোথাও আগুন
 আবার ছাইও

নৌকার কল্পনা তার প্রেমের ইশারায়
একটি অন্ধ গলুই আঁকে
ঝোপের ভিতর লাফিয়ে নামে
চান্দু বিড়াল কালো পুরুষের লেজ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন