পরবেশী
হাওয়া ক্লান্ত পরবেশী বিভঙ্গ
আগুন কুড়িয়ে রাখছি উচ্ছ্বসিত
হাঁটতে নেমে শুধুমাত্র এই পর্যন্ত
পথের কানাচে নড়ে উঠেছে সুখময়
ভারক্লান্ত হাওয়া পরবেশী
আবেগী সুতোর প্রান্তে মধুমাস
ভার নামিয়ে পথের দোহরা
কিছু শব্দ মিশে যায় নদী বরাবর
কূলের কিনার খুঁজতে গাছেদের রূপবদল
কবন্ধ
আবহমান জুড়ে শূন্য মাস্তুল
লগ্নীকৃত ঈষদুষ্ণ
চুপিসার নেমে আসে আতসে
বালিসে কাঁথায় মেহগিনি স্তব্ধতা
কতটা শোধ নিয়ে ভুলে যায় বনানী
কতটা শোধের প্রান্তে বাঁচে অধুনা
মেঘফালি শীত হেমন্তের মন্দলাগা
রোগশয্যা জুড়ে মনখারাপেরা
খালি হাতে ফিরে আসে মেঘের বসতি
আবছায়া কিছুক্ষণ
কিছু দূরে জেগে থেকে
কবন্ধেরা
রোদ
ইতস্তত অন্তহীন রোদের চেহারা
বিজলি বাতির আলো প্রাচীর শুভ্র
চুপিসার নেমে আসে অক্লান্ত
দুপুরের শূন্যমন নির্বাসনের মায়াঘন
ডাকছে পরিযায়ী
হাঁটছে সর্বনাশা
মধুর বিরতি পরাগে যেন বানভাসি
রোদ্দুর তবু পিছুপা হয় না
সাঁঝ
ক্ষুধা মগ্ন সাঁঝের পরিযায়ী
আলোপথ পেরোতে চাইছে মধুরা
ঘড়ির তীব্র থেকে উঠে আসা মাধবী
কেমন যেন বেলাশেষ শেখাচ্ছে
সেপ্টিপিনের মতো গোছানো হৃদয়
সান্ধ্যযান হয়ে উঠে আসে মগ্নতা
আলো অভিসারী
আলো বিখ্যাত ব্যতিরেক
আলোতে মিশেছে সন্ধ্যাতারা
নিঝুম
চোখের গভীরে আঁকছে শুষ্কতান
সামনে থেকে ধেয়ে আসা সাংখ্যমান
নিঝুম করেছো ডাকনাম
দিগন্ত মিছিলে কুহুতান
নিঝুম ঘুরে যাচ্ছে দোলাচলে
আকাশের কাছে পাতছি কান
কুঁকড়ে থাকা অল্প বয়স
সামনে এসে ডাক দিয়ে যায়
নিঝুম ছড়ানো রাস্তাঘাটে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন