গ্যালিভারকে
তোমার কবিতায় আজকাল বর্গিদের
কথা খুব পাই
পাই রক্তখেকো বামনদের কথা...
বেঁটে মানুষদের নিয়ে লিখতে
লিখতে
তোমার চেহারা ঝুঁকে গেল
পিছনের লম্বমান ছায়া দেখে
কষ্ট হয়। জানি
তুমি আর আকাশের দিকে
ঘুরে তাকাতে পারবে না
মুখোশকে ভয় পেতাম বলে
আমি তেহট্টে যাইনি
ঘর বাঁধিনি যাদবপুরে, বনহুগলিতে
শুধু একবার বিনা টিকিটের
ট্রেনে দীঘা গেছিলাম, আর
শুধু একবার... সহযাত্রী হয়েছিল
তোমার মুখোশহীন হাসি
হাসি নিয়ে লিখতে লিখতে
তুমি ক্রমশ গম্বীর হয়ে
গেলে
এখন আর ভুল-পথে ভ্রমণে
বেরোলে
ফাঁকা বেঞ্চে পা মুড়ে
বসো না।
এতদিনে তোমার পা নিশ্চয়ই
অনেক লম্বা হয়ে গেছে
শুধু বেঁটে রয়ে গেলো
তোমার কলম।
সাদা পোশাকের গান
আমরা কেউ সঙ্গীতজ্ঞ নই,
অবরোহে আরোহণে রঙিন বিভ্রম ছিঁড়ে দেয়
রেশম-মথের ডানা।
শুধু একটি করে সাদা পোশাকের গান
তোরঙ্গে গোপনে রাখা আছে,
ভিক্ষাজীবী আমাদের ওই একটিমাত্র উদযাপন...
এখানে সবাই অন্ধ, খঞ্জ, মূক এবং বধির
ব্যক্তিগত বনাঞ্চলে পশুরাজ,
স্ত্রীর কাছে নওলকিশোর
শুধু একটি করে সাদা পালকের হুরি
মৌসুমী-বাতাস ভরা পথ রোধ করে উড়ে আসে
বয়ঃসন্ধিকাল ওটি,
লুকোনো মৈথুন।
অরণ্যরোদন পর্বে কেউ কেউ বলেছিল 'শ্লোক'
সান্ত্বনা জানিনা, তাই মেনে নিতে পেরেছি সহজে
সহবাস, পাতার হলুদ
আজ চাই,
শ্রাদ্ধবাসরের সাদা উত্তরীয় ফেলে দিয়ে
একবার অন্ধ সুরদাস
মেরুদন্ড সোজা করে, উঠে যাক
'ভালবাসা' শব্দটার কাছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন