ফেরা
(১)
একটু একটু করে রাতের গা খুবলে
বেরিয়ে পড়ছে রক্তাক্ত স্বপ্ন।
ছাতিম গন্ধ আজ আর নেশা ধরায় না।
তোকে প্রথমেই ঠিক চিনেছিলাম...
ছায়াপথে লেগে থাকা নক্ষত্রের সারিতে
দিশা খুঁজে নিই নিশ্চুপে।
তোর বাঁধতেই ঘর বেঁধেছিলাম
নীল আকাশের নীচে।
(২)
শরীর শরীরের গন্ধ চেনে।
মনকে জানার কোনো ঠিকানা নেই
অন্ধকারে হাতড়ানো কিছু দিশেহারা হাত
সারাদিন শুধু খুঁজেই ফেরে।
তোর চুম্বনের দাগ আজও জীবন্ত
পাতাঝরা বিকেলের গায়ে পুরনো প্রেম
উঁকি মারে এখনো...
রাত জেগে সেই রাতের অপেক্ষা করি
উষ্ণতা
যতটা পথ হাঁটলে ছোঁয়া যায় দিগন্ত
যতটা হাত বাড়ালে দূরত্ব কমে তোর-আমার
ঠিক ততখানিই চেয়েছি আমি।
কুয়াশা সরিয়ে রেখেছি যত্নে
জড়িয়ে ধরেছি ওম ঘুমের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে।
তবু এত শীতলতা!
ঘুম ভাঙবে না বলেই কি এত ব্যাকুলতা...
বারবার তোকে ছুঁয়েই বাড়াতে চাই
মৃত সম্পর্কের উষ্ণতা।
ভাঙনের কবিতা
(১)
কিছুটা সময় ভেঙে
গড়িয়ে নিই ভালোবাসা
মুঠো মুঠো গুঁড়ো রঙ
জমতে জমতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস
পাড় ভাঙে, ভাঙে সম্পর্ক
গোধূলির বুক চিরে
সামান্য লাল আজও পশ্চিমে।
(২)
বনসাই স্বপ্নের ভিড়ে
জঞ্জাল বাড়ে
ধূলোমাখা শহর বদলায় রঙ
চেনা মানুষের মুখ মুখোশ
একাকার।
(৩)
স্বপ্ন দেখব বলে এই জেগে থাকা
অসহায় রাত্রি যাপন।
নৈঃশব্দের জানালায় আজও
দাঁড়িয়ে থাকা অর্ধেক চাঁদ
কোনো এক ভাঙনের গল্প শোনায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন