শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

জ্যোতির্ময় মুখার্জি


ক্রিয়াপদ একটি গল্প

লিঙ্গ বেয়ে রক্তিম ধর্ষণ
লিবিডো :আনুভূমিক
হয়তো ঋণাত্মক ওয়েসিস
                         ভেঙ্গে
কেবল একটি উড়ন্ত চুল

ব্যক্তিগত আগুনের সন্তানেরা
স্বচ্ছন্দে গচ্ছিত রাখে
                চৈত্রসেলের মৈথুন

অপেক্ষা ততটাই
ভাঙাচোরা ব্যস্ততার ভূগোল
        ও ক্রিয়াপদ একটি গল্প

রঙচটা আঁটোসাঁটো বৃত্তে

শান্তভাবে রাত্রিকালীন সরীসৃপ
               তারও বেশি একদিন
রঙচটা আঁটোসাঁটো বৃত্তে
নাটকীয় সমস্ত কিছুই
                ভক্তিমূলক
দৃষ্টিকটু


এখানে ভেঁপু বাজানো নিষেধ

এখানে ভেঁপু বাজানো নিষেধ
এখানে ঝাউবনের নীচে
                    অশরীরী শহর
ক্ষণস্থায়ী শাঁখা-সিঁদুর মুছে
            প্রতারিত হলো মেঘে


শরীরে নখ ভাঙলে

ক্রমশই ঘাড় ছুঁয়ে ঘাম
চিত্রনাট্যে কোথাও যতিচিহ্ন নেই
শরীরে নখ ভাঙলে
                     অন্তরঙ্গ-সমব্যথী


দশটা দশের শিয়ালদহ লোকাল

চেপ্টে। ঝুঁকে
দশটা দশের শিয়ালদহ লোকাল
একটা ইচ্ছা। কবিতা
কিছুদিন হলো ঘরছাড়া
ঝাপসা দু-একটা মৃত্যু বা মুখ
দু-চার ফোঁটা ছাগলতাড়ানি বৃষ্টির মতো
                              নির্দয়তা কোথাও

হাসিমুখে কাছে ডেকে। চা-সিগারেটে
এরকম তো একটু আধটু
                  হোন্দায়ইর্যাহেতা হ্যায়
পান চিবিয়ে। পিক গিলে
ঘেমো গেঞ্জিতে। চেঁচিয়ে বলিনি বটে
তবু ঠিকানা লেখা কলহের গায়ে
কিছু ইদখিদে ধুলো জমে ওঠে

মাঝে মধ্যে একটা জাহাজ আসে
মাঝ উঠোনে নোঙর
                 শুকনো কিছু সম্পর্ক
নিবিড় কোলাহলে। ফুসফুসে নিকোটিন
এসবের পাশে আন্তরিক এই ভিড়
এই তো শতাব্দী প্রাচীন কাগজের নৌকা
                              দিব্যি ভাসে রক্তে
নেশাতুর জিভে নারীর
                      থু... থু...

এইযে দাদা, মরবেন নাকি!
এতোটা ঝুঁকে থুতু ফেলছেন কেন?
ভিতরে আসুন
              য-ত্তো-স-ব...
শাল্লা, সাত সকালেই মাল টেনেছে





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন