খুচরো
এইসময়, আলমারির ভাঁজ থেকে বড় হতে চায়, কমলা
রঙের ফুল-স্লিভ গেজ্ঞি। ন্যাপথলিনের ছাই
রঙের গন্ধে,
কোথাও যেন নিজের
মতো দেখতে কাউকে
খুঁজে পাওয়ার নেশা।
যে পাজলগুলোকে আলাদা
আলাদা করে গুটিয়ে
রেখেছিলাম, সেগুলোকে
ঝেড়ে ঝুড়ে আবার খাপে-খাপ, খাঁজে-খাঁজ-এ জোর করে
মেলানোর চেষ্টা।
শীতকাল কিছুটা টেলিভিশনের
রি-ক্যাপ-এর
মতো। ‘সুপর্ণাদি’ না
হয় ভাস্করবাবুকে মনে
করালো... কিন্তু আমাদের রিমাইন্ডার
তো, বোরোলিন
আর ফাটা চামড়ার
পুরনো ইক্যুয়েশন।
সম্পক্ক-টা
দেখলে দেখলে মাঝে
বড্ড হিংসা হয়।
প্রতিবছর নিয়ম করে
কী সুন্দর নকশায়
চামড়াগুলো ফাটে। বোরোলিনও তো
ফেরায় না।
আঘাতের প্রতিশব্দ রূপে
ঠোঁট ছুঁয়ে যায়
প্রতিরাতে।
প্রতি বর্গক্ষেত্রে অন্ধকার
চিড়ে চলে যায়, কোনো দুরন্ত গতির
বাইক। রাতের কাছে
অন্ধকার প্রমাণ করার
দায়টা যেন বেড়ে
যায় থেকে থেকে।
কিচ্ছু করিনি...
চুপচাপ দেখে গেছি
জোনাকিদের উত্তরসূরী। হেডফোনের চাপা
আওয়াজে রেজওয়ানা চৌধুরি
বন্যা।
লেপকুচির আড়ালে মিলে
মিশে যাচ্ছে...
শুধু অপেক্ষা।
আর তাতে ইন্ধন
জোগাচ্ছে পুরনো রিংটোন।
আমার তো ওদিকে
যাওয়ার কথা ছিল
না।
আমি তো বরং
মিছিলে যেতে প।রতাম। টিয়ারগ্যাসে চোখ মুছতাম। জলকামানে
ঝাঁপাতাম। লাঠি-চার্জ গুণতাম।
তা তো হলো
না।
সেই চুপিচুপি গিলে
খেলাম মেডিক্যাল রির্পোট, ক্যাডবেরির লোভ,
গোপন জবানবন্দি।
এফোঁড়-ওফোঁড়
করে দিতে ইচ্ছে
হয় সবকিছু।
ধূলো জমাতে ইচ্ছে
হয়...
রোদের সঙ্গে খেলা
জমুক।
সন্ধ্যেবেলায় শাঁখের বদলে
বাঁশি বাজুক...
হাঁটু গেড়ে বসে
খোল নিয়ে ক্যারল...
আর...
আর...
হেডলাইন... ব্রেকিং নিউ...
বিতর্ক...
ওই যে...
অপেক্ষা...
থার্টি ফার্স্ট... ম্যাডাক্স
স্কোয়ার...
সরি, অ্যালেন
পার্ক...
বাবরি...
দিনের শেষে একমাত্র
সত্যি ঘটনা ওভেনের প্রি-হিট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন