শিরোনামহীন
(১)
যত নাম ভেসে আসছে কাছে, তাদের যানবাহনে বদলে দিই
কেউ সাইকেল তো কেউ ডিঙি নৌকো
কাউকে বানাই একটা গোটা মিশাইল
যেন ঠিক টার্গেটে হিট করতে পারে
আগুন নিয়ে খেলছি, ওই যে বিমানটা লা-পাতা
তার পেছনে আমার এই খেলা নির্মমভাবে কাজ করেছে
ওই যে একটা লঞ্চ শুধুই দুলছে ভীষণ জোরে
আর যাত্রীরা পরিত্রাহী রব, সে আমারই অঙ্গুলিহেলনে
সবাইকে ঘুম থেকে তুলে দিতে চায় এই আশ্চর্য
খেলা
রোবোটকে ঘিরে এর যত কামনা বাসনা
প্রার্থনার জোড়া হাত কল-মানুষের প্রেম প্রীতিকে
নিজের করে পেতে চায়
এখানে, হায় শব্দটিই প্রযোজ্য ছিল
কিন্তু আমি তা না-লিখে লিখে ফেলতে চাই
আরেকটি যানবাহনের নাম
যা আজও আবিষ্কৃত হয়নি, অথচ রয়ে গেছে কারও মানসে।
(২)
ভুলে যেতে চাই অনেককিছু তোমার ব্যক্তিগত
মনে করতে চাই নানারকম বাতিকগুলো তোমার
তার জন্য একটা মাত্র জন্মদিনই যথেষ্ট নয়
প্রতিদিন তোমাকে দরকার, তোমার সংকোচ আর সহিষ্ণুতা
পরিস্কার জামা-কাপড়ে ফিটফাট করে রাখতে চাইতে
আমার মত দেয়ালকে যার কান ছিল না
বাইরে থেকে এলেই জল নয় বাথরুমে যেতে বলতে
যেন জল খেলে পৃথিবীর ঘাসগুলো আর জন্মাবে না
আর খাওয়ার পরপরই টুথব্রাশে পেস্টের গন্ধ ফুটিয়ে তুলতে
যা করতে আমার খুব যে একটা ভালো লাগত তা মোটেও নয়
এখনও সেভাবেই চলি আর তোমাকে মনে করার
চেষ্টা করি
আমাকে দিয়ে তোমাকে মনে করানোর চেষ্টা
তোমাকে দিয়ে যেদিন তোমাকে মনে করব
সেদিনই প্রকৃত জন্মদিন যা থেকে নিজেকে তুমি আলগা করে নিয়েছ।
(৩)
জড়ানোগুলোকে আলগা করে রাখতে চায় চলার
গরিমা
চলে আর ছড়িয়ে পড়ে
যদিও আলগা হয় না কিছুতেই
বেদনাগুলোকে সুখের বেলজারে রাখা হয়
একটু আশা যদি সুখের মুখ দেখে
সুখ হয়ে ফুটতে গিয়েও পারে না
অবাক হতে চেয়ে কাকে যে বেছে নেয় জীবন
নামক এক ধারণা
সেখানে জড়িয়ে পড়াই নির্দিষ্ট
আর শুধু শুধুই কষ্টের পাতাবাহার
আনন্দ এখানে কর্পূর ধর্মের এক রঙিন
গ্যাসবেলুন
যার মধ্যে বাস অনাদিকালের মানুষের
যারা যখনতখন মরণশীল
বাচ্চাদের হাতে হাতে উড়তে থাকে সপ্তাশ্ব
বাহিত রথ
কথা আছে আমাদের নিয়ে যাবে জড়ানো ছাড়িয়ে
আর বেদনার মুখগুলোকে খোলা রেখে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন