সংরাগ
যে দূরত্ব পর্যন্ত শোনা যায়
ব্যাখ্যা করা যায় শোষক-শোষিতকে
তাকে ডিঙিয়ে, ডিঙিয়ে মানুষের রেপ্লিকা
পথে পথে ঝড়ে পড়ে নিয়ন আলোরা।
গাছের অবয়ব ছুঁয়ে
আলোর সঙ্গম
আগামী কালের গন্ধ ছড়ায়।
এসো
সব পেয়েছি জেনে
সংরাগ ছুঁড়ে দিই
পরস্পরের দিকে
প্রতিশোধের ভঙ্গিতে।
পুরনো ব্রিজের নিচে
হাসি থেকে মুছে যায় অলংকার।
কে কুড়ায় উজাড় করে কচুরি তুমুল
নরসুন্দার পাড়ে
নিয়নের ময়লা আলোয়।
অবচেতন ধাক্কা দেয়; দিয়েছিল।
সশব্দ ট্রেন চলে গেলে
পুরনো ব্রিজের নিচে আজো
ভেসে যায়
চাঁদের আত্মহত্যা।
এবিজেল
দুটি নদীর মিলনস্থলে
এসে থেমে যায় আলোকশিশুরা।
পুরো সৃষ্টিকাল ধরে
বাতাসে পতাকার মতো
তিরতির কাঁপে
তাদের নাক্ষত্রিক কেশ।
নৈঃসঙ্গ
আমার হ্রস্ব-দীর্ঘশ্বাসগুলো
লিখে রাখে দেয়াল কংক্রিট।
বিনিময়ে চাপিয়ে দেয়
তার কিছু স্থবিরতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন