কতদিন কবিতা নেই
নীরব রাতের গল্প ঝরে পড়ছে পথের দুধারে
আর কত-না
অপেক্ষা
এইসব লোকজন আমাকে বিরক্ত করছে
আমি কি তাদের কেয়ার করব
লাজলজ্জা নেই, বাঁচো
কী করে
কতদিন কবিতা নেই, ধরিবাজ
ব্যবসাপাতি
ইরান দেশের মেয়ে তুরান দেশের ছেলে
ছোটবেলার পারস্য উপকথা, মাথা ধরে যায়
কত লোক গেল আর এল, স্টেশনে
অপেক্ষমান ট্রেন
হুইসেল দিতে দিতে গত বরষার ডাক ডেকে গেল
আমার চোখের দিকে তাকাও, অন্ধকার নামছে
সারারাত বৃষ্টি হয়েছে
ভূমিতে লুটানো অনেক বৃক্ষ আমাকে দেখছিল
বাতাসের হাহাকার মদ দাও মদ দাও বলে
চিৎকারে মাথায় করেছিল সুরিখানার রাত্রি
আমি তোমার গতবারের হারানো ঠিকানা
গতবার লবণের ব্যবসা করেছি এবার জলের
ধুয়ে যাওয়া হাওয়ার উত্তাপ বুকে লাগাতে লাগাতে
গণপতি বাপ্পাই হাঁকে আকাশ ফাটাব বাজার দরে
যে সকাল মেঘ হয়ে যায়
কেন চুমু খাওয়া অন্ধকার ফিকে হয়ে আসে
হাতের আঙুলগুলো শিথিল হতে হতে ছেড়ে যায় উত্তাপ
তারপর ঠান্ডা, শীত, হু-হাওয়া এবং বরফ ক্ষরণ
তারপর? দীর্ণ
যৌবন খুঁড়ে নীলবিষ খেলা, বাতাসকে তেতো লাগে
কে যেন বাজায় বীণ, সাপ
আসে সাপ হাসে বিষ খায় চুমুর বহর
উড়ছে কালো ঘোড়া, পাখায়
জ্বলছে লাল মগ্ন-অনল
ভোরবেলা অভিমান, অভিনব। বোকা প্রেম, চাপ চাপ রাগ
বাজায় ঘন্টাধ্বনি, বায়স্কোপ
রাস টানে, নষ্ট ফুটেজ
সেই থেকে নাওয়া নেই, খাওয়া
নেই আছে কেবল শিল্পরন্ধন
উদাস মেঘপাখা খসে খসে পালক পতন
বহুকাল রাধিনি কিছু, শব্দে
বড় বেশি ঝাল পড়ে যায়
হাঁড়িতে ফুটতে থাকে হলুদে ঝোলে ডুবা জীর্ণ কথন
যে অন্ধকার গিলে খায় সরল স্পর্শ আঁকা বোধ
সে কেন সকাল হলে রুখে দাঁড়ায় নিয়ে ঘোর ক্রোধ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন