শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৭

জয়শীলা গুহ বাগচী

ডুব


(১)


অল্প সরে হেমন্ত ছায়া রাখল জলে
এই সরে আসার আড়ালে
একলা মিঠে একলা তেতো
একটা গপ্পের গায়ে নিজেদের টেনে নেয়
শ্বাস ফেলে কূট
হেমন্তের এপাশ ওপাশের মাঝে
ভারসাম্যের হাত... মুঠো হয়
ধারালো রঙ লাগে
শীত আসার আগে
গুছিয়ে ফেলে ভান
আমাদের নীল গুলে
অবিশ্বাসী ছড় টেনে
খুলে নেয় নাম... নামের এক্কা দোক্কা


(২)


নীলের কোনো পদ্ধতি ছিল না
কখনো গড়িয়ে অথবা শ্বাস আটকে
অপ্রমাণিত কে আনন্দ বলা যেত
তুলনার ভেতর একটা গাছ এঁকে দেব শুধু
অথবা গঠনতন্ত্রের প্রতি এককে নীল ওড়না
শব্দ ঘুরে বেড়ায় প্রতিদিনের ধারণাতে
পাখনা নেড়ে, লেজের ঝাপটে
আকাশ উল্টে যেসব দেখা
থেরবাদী শ্বাস নেয়
তাদের অপরিচয়ে নিজেকে
জাড়িত হতে দেব
মাটি হব, যথেষ্ট হব রোজ


সূত্র


প্রতি রাস্তার একটা পাগল থাকে
তার স্বদন্তে গোলা গোলা শহর জমে আছে
সে হাঁটে
পিছু পিছু দড়ি বাঁধা টমটম গাড়ী
ধারণ শব্দে হানা দেয়
আমরা কী ভেতর নিংড়ে
 পাগল ঝরাই
সেইসব হা হা অসুখ
করোটির সাংখ্য
ভেজা ভেজা অসম্পূর্ণ
ঝিম মেরে থাকে
দাঁতে কেটে নেয় সংকেত
পাগল কাঁপে না
ঝরে না
সাহসী রাস্তা মুখ ঘুরিয়ে
পাগল পেঁচিয়ে ধরে

আর পাগল প্রথম বিন্দুকে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন