উৎসব
একদিন আলোর মৃতদেহ কাঁধে
বাড়ির সমুখ দিয়ে
হেঁটে গিয়েছিল অলস সকাল
দীর্ঘ অসমাপ্ত কাজগুলির ভিতরে
আমি গুটিয়ে রেখেছিলাম হাত পা ও
রোঁয়াদার বারোমাস্যা
লম্বা ছুটির পরে আয়নার সামনে এসে দাঁড়াই...
এই তো মোটে ক'টা মাস... এরই মধ্যে দ্যাখো
হু হু করে বাড়ছে কপালজোড়া কালোটিপ
এই উৎসবের মরসুম, অজস্র প্রলাপ এঁকে বলিরেখা ফুটে উঠছে বিস্তৃত উঠোনে
কী খরা মাগো! অক্ষরপত্রও বিদ্রুপ করে কী করে লিখবো ইতিহাস!
ক্রমশ আশ্রয়
নিচ্ছি অন্তহীন খোলসে
সেই যে, আলোর মৃতদেহ
বহন করে
নিয়ে গেল নিভন্ত সকাল
তারপর চাঁদ উঠলেও আজকাল বড় অশ্লীল লাগে।
মা
আমি বললাম বৃক্ষ
আর তুমি জড়িয়ে নিলে হাত
আমি খোদাই করলাম কাঠ
আর তুমি বললে তুলসী
উনুনে ফুঁ দিলাম
চারিদিক ভরে উঠল ধূপধুনোর গন্ধে
জলছড়া দিতেই তুমি ডাকলে, ‘আয়’
তাকাতেই দেখি অনন্ত আকাশ... কাশ
মাটি ভরে গেছে কমলা রঙের আল্পনায়
এইসব সন্ধাকালে অনন্তের খোঁজে
তুমি হেঁটে যেতে গলি উপগলি...
তস্য গলির পিছনেও সিঁদুররাঙা সিঁথি নেই!
বাবা কোথায় মা!
আমার পায়ে ব্যালেরিনা ফোস্কা, জল বলতেই তুমি এগিয়ে দিলে সাদা আঁচল...
এখন! আমার কোনো ছায়া নেই
আকাশগঙ্গায় আসনপিঁড়ি হয়ে
বসে থাকে মৃত নক্ষত্ররাজি
আমি দেখি ধ্রুবতারা, অনন্ত শ্বেত আলোকরাশি...
ঈশ্বর কে! কুলুঙ্গিতে তোমার স্পর্শরেণু
সাজিয়ে রেখেছি
আমি বললাম কাঠ, আর দপ করে
জ্বলে উঠল আগুন।
গর্ভ
যে কোনো সৃষ্টির পূর্বে তুমি অস্থির হয়ে ওঠো
আদিপর্বে যন্ত্রণার সুর
শুনছো! ওঠো! জলের ছিটের দিকে চোখ মেলো
এই অজ্ঞান মুহূর্তকাল
দৃশ্যগুলো প্রিজমের
মধ্যে দিয়ে ধেয়ে আসে
ঘরবাড়ি চাকা...
মুখগুলো তেকোণা
ক্রমশ বড় থেকে ছোট হয়
টলটলে মাথার ভিতর তখনও
গুনগুন করে গুটিকয় কুশি কুশি পঙক্তি
ক্ষরণ প্রকৃত হলে
কবিতার জন্ম হয়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন