সেইসব নেগেটিভগুলি
(১)
অক্ষর ফোটাতে গেলে ইলিশের
গন্ধ ঢুকে পড়ছে লেখায়
এত ভাত কবে খেয়ে ঘুমের
ভিতর সমুদ্র আর লবণ
করতালি দিয়ে উঠছে
কচুশাক রান্নার নৈপুণ্যে
টের পাচ্ছি প্রাচীন উপকথাগুলি
হারিয়ে যায় নি ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার থেকে
(২)
জানালা খুললেই যে আকাশ দেখা যাবে এমন কথা নেই
গম্ভীর এবং চুপচাপ মেঘেরা ঘিরে
থাকতে পারে লোহার গ্রীল
না রঙ হয় নি অনেকদিন
যদিও পুজো এসে গেল আর শাড়িও
এখন পাড়ায় পাড়ায় শান্তি বাহিনী
বলে গেছে সাবধান জল জমা থাক
পচা গন্ধের কথা কেউ বোলো না
তবুও গোপনে সুরতহাল চলে আর
রিপোর্টে লেখা হয় ভুল আবহাওয়া সংবাদ
ভাদ্রেই শীত ঢুকে পড়ে অন্দরমহলে
শীতের বৃষ্টির গল্প না ফুরোনোয়
একটা চুল্লির প্ৰয়োজন পড়ে পাড়ায়
এইসব হতে হতে একটা বছর সীমাকে নিয়ে পালিয়ে যায়
তার মসৃণ ঊরুর কথা শুধু ডোম জানতে পারে মর্গের ঠাণ্ডাঘরে
আর একটা গ্রীষ্মকাল ঢুকে ওলটপালট তার ভিতর
একে চন্দ্র
মামণির পিসি প্রতিদিন সন্ধ্যামণি হয়
চাঁদ থেকে যে রস গড়িয়ে নামে
সেই রস মেখে সে যখন যায়
তমাল তলায়
তাকে কেউ সুন্দরী মাল বলে
সে তখন তার পিছনের চুলে
মেঘ ফোটায়
অন্ধ পৃথিবীর ঠোঁটে চোখ
দু’য়ে পক্ষ
(১)
শিকড়ের ঘরে গাছ নেই
রক্তশূন্য অঙ্গে কিছু মাটি
সিমেন্টের ঘের
ঝুঁকলেই এক বিরাট হাঁ মুখ
আর মিছিল লাল পিঁপড়ের
একটা বেওয়ারিশ লাশে
(২)
রামলীলা থেকে ফিরে এসে
সে আর মানুষ থাকে না
রাম খুঁজতে থাকে আয়নায়
সীতা বিরহ তাকে রাবণ করে তোলে
আগুন শরীর লঙ্কায়
তবুও মৃত্যুবাণ লুকাতে ব্যস্ত
তিনে নেত্র
(১)
ভাদ্র মাসের দুপুর।
কদম গাছের নীচে
কুকুর খেপিয়াছে।
মনসা মনসা যাহারা
চিল্লাইতেছে তাহারা জানে না
এই নগরে নাগ নাই।
(২)
বালিকা জানিল
তাহার পাথর নামিয়াছে
সেই দুই কেজি শিশু
জানিল না
পিতা আর মাতার পরিচয়
তবু সে একটি হোম পাইল।
(৩)
পুকুর ঘাটে চোখ
তাহাদের দেখিতেছে
ডুব এবং উথ্থান
হাঁস হইবার ইচ্ছা হইলো
বন্যা আসিয়া স্বপ্ন ভাসাইয়া লইয়া গেল।
এক নং ও দুই ং কবিতা দুটি ভালো লাগলো
উত্তরমুছুন