রক্ত মৃত্যু রসায়ন
অব্যক্ত ঘৃণার স্ট্রাটোস্ফিয়ারে
বিধ্বস্ত তুলতুলে হৃদয়।
গামা রশ্মির শিকারে আহত
আত্মরক্ষায় অপটু মন।
পথের প্রান্তে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা
আগাছার দুঃস্বপ্নে দিন কাটে
কখন কী হয়!
মাউনাকিয়ায় চুপটি করে বসে থাকা
দূরবীনও জানে না,
নত্রাদামের ধুসর পাথরের কথা।
যুগের পর যুগ বরফের আস্তরনে
ডুবে থাকা দিন রাত ও ভয়
পায় লাভা উদগীরণের।
পৃথিবীর শূন্য থেকে যাত্রা
শূন্যতেই বুঝি শেষ।
চিন্তায় টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া,
স্থান, কাল ও বন্য সমাজকে
ডিঙিয়ে যেতে গিয়ে,
ক্ষত বিক্ষত বিষাক্ত কাঁটায়।
নিত্য অনিত্যের ভিড়ে, পুরাণের
কাহিনীও মিথ্যে হয়ে যায়।
ক্ষত স্থান থেকে চুঁইয়ে পড়া
রক্তের স্বাদে শুদ্ধ হয়েছে ক্যাকটাস।
শুকনো রুটির টুকরোর সাথে
মৃত্যু মিলেমিশে একাকার।
স্থবির জীবনকে আয়োনোস্ফিয়ার
গ্রাস করতে চেয়েছে বারবার।
গুপ্তঘাতক
যুদ্ধটা থেমে গেছে অনেকক্ষণ
বাতাসে আর বারুদের গন্ধ নেই।
বুকের বাঁদিকে গেঁথে গেছে বুলেট
চাপচাপ রক্ত মানচিত্র এঁকেছে।
বিস্ময় আর ক্লান্তিতে ভেসে উঠলো
ঘাতকের চেনা মুখ, বুকের মধ্যে প্লাবন।
চেনা ঘাতকের আঁকা ছবি প্রতারকের।
অন্ধকারের মুখোমুখি, মিথ্যে দিনযাপন।
দরজার খিল দিয়ে ঘুমাচ্ছে সবাই
প্রতারণার মুখোশ ফেলে দিয়ে
নতুন শিকারের খোঁজে ব্যস্ত।
আর ঘুমিও তুমি না অভিমন্যু
অন্তত এইবার জেগে ওঠো।
স্বেচ্ছাচারী হও আর একবার।
হাতে তুলে নাও তোমার ব্রহ্মাস্ত্র।
সপ্তরথীরা ঘিরে ধরুক তোমায়।
প্রসব যন্ত্রণায় কেঁপে উঠুক পৃথিবী।
তারপর!
মাঝে মাঝে একলা সময়ে
মেঘের আড়ালে লুকোয় চাঁদ।
বেঁচে থাকার তাগিদে বুঝে নিই
হাওয়াদের এলোমেলো হাত।
তারপর!
পায়ের নিচের নোনাজল
ধুয়ে দেয় তারাখসা রঙ।
অনেকটা ক্লান্ত হয় ভোর
শ্রান্ত হয় মিঞা কি সারং।
তারপর!
সবুজ যত গাছ জল ছাঁচে
পাড় ভাঙে মনের উঠোন
আজও নির্ঘুম একলা রাত
সাথে নিয়ে বাখ, বেঠোফেন।
তারপর!
ধীরে ধীরে অশান্ত হয় মন
চোখের কোলে টলটলে নদী।
অভিমানে বে-আব্রু সঙ্কোচ।
সাগর হতে পারতাম যদি!
তারপর!
কুয়াশায় ঢেকেছে আকাশ
লুকিয়ে রাখে ঘর ছাড়ার গল্প
রোদের সুরে অবিশ্বাসের রেশ
মেঘ মল্লার শুনছি অল্প অল্প।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন