বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭

শর্মিষ্ঠা ঘোষ

মেটামরফোসিস

দেখ কেমন শান্ত হয়ে গেছি
আগুনটুকু উনুনে ফিরে গেছে
কাদের যেন পুড়ছে ঘরবাড়ি
কাদের মেয়ের চিতা জ্বলছে চোখে
আমি জানি কষ্ট হচ্ছে খুব
তবু তাকে লুকিয়ে রাখাই দড়
ভালো লোকে মন্দ দেখবে কেন
আমায় তেমন ভালো হতেই হবে
আছে আমার ঘর বার পরিজন
আর সব লোকের যেমন থাকে
খারাপ কথা শোনার জন্য অনেক
আমি ছাড়াও অন্য লোক তো আছে
আমি কেন তেমন লোকের মতো   
হতে যাব ঘরের খেয়ে-প’রে
আমি শুধু আমার মতোই হব
ঘুম খাওয়া আমোদ আরাম ঘিরে
কত লোক আস্ত পাগল ছাগল 
কত লোক পরের জন্য ভাবে
আমি ছাড়াও জগৎ চলে যাবে 
চলছিল সে যেমন আগে থেকে
আমার ঘুমে স্বপ্ন দিও প্রভু
সন্ততিদের নিরাপত্তাও দিও
আমার ঘরে মৃদুমন্দ খেলাও
ফুল অগ্রুর সুগন্ধি আশ্বাসও
অন্য লোকে আমার জন্য ভাবুক
খবরটুকু জেনে নিলেই কাফি
রাজা উজির মারতে আর কি লাগে
আমি নইলে বিশ্বকোষটা ফাঁকি
আমি জানি কোনটা ভালো খারাপ
আমি জানি কে বন্ধু দুশমন
আমি জানি আমার জন্য সবাই
রাষ্ট্র সমাজ পুলিশ প্রশাসন
ট্যাক্স দিই নিয়ম করে ভোট ও
ভালোমানুষ জানে আমায় লোকে
ভগবান আমায় তুমি দেখো
অবিশ্বাসী মরুক ভেবে ভেবে
আমি পাল মেলবো অনুকূলে
স্রোত নৌকো বাতাস যেদিক চেনে
বিবেক ঠাকুর পাপ নিও না প্লিজ
বেঁচে থাকলেই বাপেরও নাম রবে 
সব লোকজন জানে এসব, বল?
তা না হলে লিখে রাখবে কেন? 
বোকা হলে সবার নামই খগেন
আরেক ভাবে বার খাওয়া ক্ষুদিরামও  


খবর

কী কী হয় বলুন তো মাত্র চারটাকায়?
বিজ্ঞাপন মতে আপনি এগোতে পারেন আবার পিছোতেও
ওসব খবর গিলে ফেলতে পারেন অথবা বমন করতেও
পড়া হলে চেয়ার মুছতে পারেন বা কারুর পেছনও
আচ্ছা, বলুন তো গালি দিতে পারেন? বা সত্যি বলতে? 
চশমা পরে বা না পরে দেখতে পান কিছু আদৌ? 
পারেন যদি আপনার হবে মশাই, লেগে থাকুন
এসব প্রাসঙ্গিক কতটা মাপতে যাওয়াটা অপ্রাসঙ্গিক
আসলে সবাই খাচ্ছে বলেই তো খাওয়া  
যুক্তি তর্ক বাড়াবাড়ি নিয়ে বেশ নিজেকেও বিজ্ঞ বিজ্ঞ লাগে 
কয়েন-এর দুটো পিঠ, আর এসব মোটেই কথার কথা নয়
তৃতীয় ব্যবহারিক সূত্রটিই বাজারে কাটে বেশি দরে


ছাতা

ছাতাগুলির মাথা গজালো কিনা আদৌ, জানতে ইচ্ছে করে
দেখানেপনা সারল্যে গেন্ডুয়া খেলেছ সরলতা নিয়ে 
ইকড়ি মিকড়ি চাম চিকড়ি আর অবসোলিট সে বোধ
কোনো এক জন্ম থেকে সার সার ভুল ভুলে আনন্দ খুঁজেছি  
শরীর মন যৌনতার ষোলকলা ঘেঁটে পেছনে তাকাই
ছাতারা সফি হলো বুঝি বেড়াল মেধা হাংরি হাঙ্গামা পেরিয়ে     


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন