মহুয়া
তুমি কাকে চেনো?
তল ফাঁসে বাঁধা তোমার গোলাম।
একান্ত তোমার নিচে তুমি বারবার ধর্ষিত হচ্ছ!
তুমি জানো, সেই মহুয়া
মেয়েটা,
যে অনায়াসে তার বুক খুলে আমায় দুধ খেতে বলেছিল।
অবলীলায় তুমি হারিয়ে গেলে,
আলগা বাঁধ কখন ছিঁড়ে গেছে,
দিন নিভে গিয়ে দেখো রাত এলো,
ফিসফিস শব্দ চিরে হ্রেষাধ্বনি হচ্ছে।
আড়ালে তুমিও খুলে নিয়েছ তোমার নাভির বেষ্টনী--
অন্যদিকে রাখাল বালক, শুধু বাঁশি বাজাতে জানে,
তুমি সেই মাঝরাতে কতবার ডুবে মোলে জলে
নখ
আমার ধার নখ,
তোমার রক্তপাতে আমি জিভ চেটে নিই--
সে বীভৎস ধর্ষণে আমিও কি শরিক ছিলাম?
সে দর্শনে তুমিও তো জড়িত ছিলে--
আমাকে টেনে নিয়ে খিল দিয়েছিলে মনের দরজায়,
এঁটে দিয়েছিলে আমার হাত তোমার উদ্ধত স্তনে।
তারপর পর্দা সরে গেলো, কিছু নেই,
নিশ্চুপ সংসার, আগের মতোই স্বাভাবিক তুমি।
তপ্ত
ভালোবাসার মাঝে অন্য কোনো নিষিদ্ধ প্রবেশ নেই
কখনও ভাবনাগুলি বড় ছোট হয়ে যায়--
তোমার মুখেও দেখে ফেলি অন্য নারীর প্রতিকৃতি।
বস্তুত ভালোবাসায় একটি নারী চাই-- লিপ্সিত ঠোঁটের ছবি--
প্রসাধনের মাঝে নিয়ন জ্বলে ওঠে যদি
মনের ধোঁয়ায় লাল রঙ উড়ুক--
রাতের ঘুমে স্বপ্নের ফানুস উড়িয়ে দেখি ঠিক সেই মতো দেহের
মসৃণতা,
তোমার মুখমণ্ডল ছেড়ে দিয়ে যে লালচ ধরা থাকে,
যদি সেখান থেকে শুরু করি ভালোবাসা,
কিছু নির্জনতা কেড়ে নিয়ে তোমার শরীরের সেখানেও
ছুঁয়ে দেখি তপ্ততা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন