অলীক মানবী
তাকে মধ্যাহ্ন সূর্য বলা ভালো
কেন না পুড়িয়ে মারছিলো
কলম থেকে নির্গত লাভার আগুন
জ্বলে পুড়ে ঝলসে মরছিলো
ইনসেক্টিসাইডে না মরে
মর্জিমাফিক সুবিধা আদায় করা
বিষ পোকামাকড়ের মতো কিছু মানুষ।
ওরা সব পারে ওরা ক্ষমতা কিনে নেয়
ওরা ভরন্ত নদীকেও কৃপণা হতে
ডোমনি মন্ত্র বলে ফুঁ দেয়
শিশু যুবতী বৃদ্ধার ক্লিটোরিসে
গলা পর্যন্ত ভরে গেলেও অতৃপ্ত লিবিডো।
রক্ত মেখে মেয়েটার অলীক দুটো হাত
লক্ষ লক্ষ হাতে কলম হয়ে ছড়িয়ে গেলে,
বুকে বুলেট নিয়ে সেই গৌরী প্রতিদিন
অন্ধকার পেরিয়ে আকাশ দিতে আসে।
এনিম্যাল মিটিং
আমাদের দেশে একদা আইনকানুন
তৈরি করা হয়েছিলো নির্বাচিত
নিরুপদ্রব অযৌন জননের জন্য
পিছনে কোনো ডেরা কিংবা ডুপ্লেক্সে অবশ্য
এনিম্যাল মেটিঙের কথা গুপ্ত রাখতে হয়
কেন না এ এতখানি নর্দমা আপোস বয়ে আনে
কিরিটি ফেলু দা'র মতো জনগণ
ঠিক শুঁকে শুঁকে বার করে সেসব
রোজকার খবরের কাগজের পাতায়।
জমিদারি চালে কোনো শুকর মদ চায়
জেলে বসে,
ডেরা বাবাদের সাধ্বী পেলে
অণ্ডকোষ কেটে ফেলা উচিত কিনা
সংসদে এ নিয়ে খসড়া আসেনি এখনো
হাইমেনের আর্তস্বর প্রার্থনা গীত ন্যায্য দাবি ছাপিয়ে
এখানে কেবল শোনা যায় আন্তঃরতি ঘেউঘেউ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন