সাড়ে পনেরো আনা
কিশোরী করিডোর
ছেড়ে যায় না স্বপ্নেও
প্রায়ই অন্ধকার
মাকড়সা সিঁড়ি বাই
ছুটে পেরোই
দিশাহারা কল পেতলের সারি
সকাল সাতটা থেকে
একটা দুপুর এরাই
কত চইচই গল্পে।
মাঝে মাঝে "ফিঙ্গার অন ইয়োর লিপ্স"
লাইনে ঢুকে
মহীয়সী হবার শিক্ষা তেরো ভাবনায়,
হরমোন খেলা এ মা, ছি ছি!
সাদা স্কার্ট
লেফট রাইট ওয়ান টু'র
হাতে কোমরে
উঁচু পাঁচিলের
সারি সারি চোখ, গেরুয়া দিন।
প্রথম তিন ডান আঙ্গুল বাঁ চেটো কোণাতলায়
তিন চারবার
হালকা থুপথুপ, চটাপট চটাপট অশোভন
মুখ হাঁ? পোশাক পোশাক খেয়াল রাখা;
ভালো মেয়ে, দুপুর থেকে
ঠাকুরঘরে শুধুই
কপাল ঠুকে নমো নমো।
শ্রীচরণেষু পিতৃসম...
জৈবিক হও,
অন্ধ হাতের
তেলোয় আঁজলা আঁজলা তুলে নাও
গর্ভাংশ, কচি স্বেদ, শোণিত।
দুমড়ে মুচড়ে
তৈরি করো বোধহীন পিণ্ড
নাম দিও, সন্তানস্নেহ...
নামে কি বা আসে
যায়?
দেখো কাতারে কাতারে গিনিপিগ
উলটোরথ সাজিয়ে
ঝকমকে,
ফোলা গালে মাথার
চুলে আলতো ছুঁয়ে
বোঝাও
পিতৃত্ব... এও এক গবেষণাগার
যবনিকাপাতের
অপেক্ষায়।
ঝড় মুখে দেখে যাই,
মায়াকোল জুড়ে
তোমার সন্ধানে
অকালবৃদ্ধা কিছু
সুপরিচিতা শিশু ক্রোমোজোম
বেঁচে থাকে
তোমারই আশায়।
বৃত্তান্ত
হেঁটে যাচ্ছ অবাক চালচিত্র, ঘুরে
এক হাত তোমার
আওয়াজে ফাঁকা
ডোরবেল বলেছে, আজ আড়ি।
বিসর্জন কুৎসিত ঈশ্বর ভাসে
খড় পুকুর কাঠামো
, ভেজা
স্তুপে রোদ
সেঁকে চেরা জিভ।
গুনে গুনে দুটো
চড়ুই, একটা মাছরাঙা
ব্যস্ত সারা
দুপুর, সাথে কটা চোর ছিপ,
উলুঝুলু
সোনামানা খেসকুটে সোয়েটার।
ঝুলবারান্দা তুলসীমঞ্চে রোদ নামে
নেমে আসে নিয়ন
চাঁদ,
বালিগঞ্জ
ওভারব্রিজ বাড়ি ফেরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন